টাঙ্গাইলের বন্যা পরিস্থিতি অপরির্বতিত রয়েছে

স্টার্ফ রিপোটার
প্রকাশিত: ০১:৩৭ পিএম, রোববার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২৩২

টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতি অপরির্বতিত রয়েছে। গত দুই সপ্তাহের পানি বৃদ্ধির ফলে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর, নাগরপুর ও বাসাইল উপজেলার ৪০ টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর তীব্র ভাঙন।

ভাঙনের ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যে তিন শতাধিক বসতভিটা, মসজিদ, বাঁধ, রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কাঁচা-পাকা রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে আছে। বিভিন্ন এলাকার পানিবন্দি মানুষ নিজ নিজ বাড়ি ছেড়ে গবাদিপশুসহ অন্যত্র উচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। অধিকাংশ এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি বলে জানিয়েছেন পানিবন্দি  মানুষ ।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় রোববার যমুনা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবার শঙ্কা করছেন জেলার কৃষি বিভাগ। এরই মধ্যে ৭৯০ হেক্টর রোপা আমন ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। টাঙ্গাইল কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাশার জানান, চলতি বন্যার পানি এক সপ্তাহের মধ্যে নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্থ ৭৯০ হেক্টর জমির রোপা আমনের ৫০-৬০ ভাগ ধান রক্ষা পেতে পারে। পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্থ জমিতে নাবী জাতের আমন রোপনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের প্রণোদনার পাশাপাশি আগাম রবিশস্য চাষে সহায়তা দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হবে।

টাঙ্গাইল জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা জানান, জেলার ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর ও নাগরপুর এই ৪ উপজেলার বন্যা দুর্গতদের জন্য ৪০ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।