জমি লিখে না দেওয়ায় বাবা মাকে পেটালো ছেলে,

স্টার্ফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ১০:১০ পিএম, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১ | ১০৮

টাঙ্গাইলে জমি লিখে না দেওয়ায় বাবা মাকে পিটিয়ে আহত করেছে ছেলে। সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়নে কেন্দুয়া বানিয়া বাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বিচারের দাবিতে মাতাব্বরসহ পুলিশের হস্তক্ষেপ হলেও কোন বিচার পাচ্ছে না বাবা মোহাম্মদ আলী পল্টু (৭৫)। উল্টো আতঙ্কে দিন পার করছে তারা। এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনার বিচার দাবি জানিয়েছেন ওই বাবা মা।

লিখিত অভিযোগ ও মোহাম্মদ আলী পল্টু জানায়, মোহাম্মদ আলী পল্টুর স্ত্রী মোছা. রুমিছা বেগমের নামে তাদের বাড়িতে সাড়ে ৯ শতাংশ জমি রয়েছে। সেই জমি তাদের ছেলে মো. শুকুুর আলী তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় মোহাম্মদ আলী পল্টুর ও স্ত্রী মোছা. রুমিছা বেগমকে শারীরিক ও মানসিক চাপ নির্যাতন করতেন। এ ছাড়াও ওই বাড়িতে জোড় পূর্বক শুকুর আলী ঘর তুলে বসবাস করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেলে শুকুুর আলী, তার স্ত্রী রেহেনা বেগম, ছেলে শামীম ও মো. রাসেল মিয়া ও শুকুুরের শ্যালক মো. নজরুল ইসলাম ও মো. মোল্লা মিয়াসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জন মোহাম্মদ আলী পল্টু ও তার স্ত্রী রুমিছা বেগমকে বেধরক মারধর করে। আত্মচিৎকারে তাদের আরেক ছেলে মো. ফজল হক, নাতি মো. মিঞ্জু মিয়া, ছেলে স্ত্রী সুফিয়া বেগম ও মেয়ে হালিমা বেগম এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেধরক মারধর করে অভিযুক্তরা। তাদের আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা চলে যায়। পরে স্থানীয় তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন শেষে তারা বাড়িতে অবস্থান করছে। তবে ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটছে মোহাম্মদ আলী পল্টু ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের।

ফজল হক বলেন, ‘বাড়িতে গায়ের জোড়ে শুকুর আলী সব করছে। অন্যায়ভাবে লোকজন এনে আমার বাবা মাকে মারছে। আমি এর বিচার দাবি করছি। এভাবে শুকুর এভাবে আমার বাবা মাকে মারধর করবে তা কখনও কল্পনাও করি নাই।’

মোহাম্মদ আলী পল্টু বলেন, ‘আমাদের শুকর ভরণপোষণ করে না। শুকুরকে বাড়িতে ঘর তুলতে মানা করেছি। সে মানেনি। তার স্ত্রী আমাকে অকথ্যভাষায় গালি গালাজ পারে। লোকজন এনে ঘর তুলছে। আমাকেই আমার বাড়ি থেকে বের হতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। বাধা দেওয়ায় আমাকে বেধরক মারধর করছে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসার পরও পূণরায় মারধরের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। বিষয়টি পুলিশকে অবগত করলেও কোন সুরাহা পাইনি। পুলিশকে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। আমাদের আতঙ্কে দিন পার করতে হচ্ছে। কোথায়, কার কাছে গেলে বিচার পাবো ও শান্তিতে বসবাস করার নিশ্চয়তা পাবো।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য জনাব আলী বলেন, ‘বিষয়টি ন্যাক্কার জনক ঘটনা। ছেলে হয়ে বাবা মায়ের গায়ে হাত তোলা ঠিক হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।’

বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্ত শুকুুর আলীকে পাওয়া যায়নি। তবে শুকুর আলীর স্ত্রী রেহেনা বেগম বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে জানি না। কাউকে মারধর করিনি।’

টাঙ্গাইলের কাগমারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি জানি। তবে শুনেছি তারা সামাজিকভাবে সমাধান করবে।’