ট্রাম্পের সমর্থনে প্রচারণায় অনুমোদন দিয়েছিল রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৩ পিএম, বুধবার, ১৭ মার্চ ২০২১ | ২৫২

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে গত বছরের নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর প্রচেষ্টায় অনুমোদন দিয়েছিলেন।

মার্কিন সরকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে "বিভ্রান্তিমূলক এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ" ছড়িয়েছিল মস্কো।

তবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলে বিদেশি কোন সরকারের কোন হাত ছিল না বলেও জানানো হয়।

তবে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ বারবারই অস্বীকার করেছে রাশিয়া।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের কার্যালয় থেকে ১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে একে রাশিয়া এবং ইরানের "প্রভাব খাটানোর অভিযান" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, রাশিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়িয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে আস্থা মুছে ফেলার জন্য গুজব ছড়াতে প্রচারণাও চালানো হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মিডিয়া, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং ট্রাম্পের মিত্রদের কাছে বাইডেন বিরোধী বক্তব্য ছড়িয়েছে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন মি. ট্রাম্পকে পরাজিত করেন এবং গত ২০শে জানুয়ারি তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয় যে, রাশিয়া যখন মি. ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত করতে কাজ করছিল, ইরান তখন তার সমর্থন দুর্বল করতে "বহুমাত্রিক গোপন প্রভাব প্রচারণার" কাজ করছিল।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ইরানের উপর "সর্বোচ্চ চাপ" প্রয়োগের নীতি অনুসরণ, ক্ষতিকর নানা ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন এবং দুই দেশের মধ্যে বাকযুদ্ধের সূত্রপাত করেছিলেন।

ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ করে আসলেও "অত্যন্ত দৃঢ় বিশ্বাসের" সাথে প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয় যে, ভোটের আগে দেশটি কোন ধরণের "প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা চালায়নি।"

এতে বলা হয়, "চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাধে সম্পর্কে স্থিতিশীলতা চায়। আর তাই নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন সেটি প্রভাব বিস্তারের ঝুঁকির বিপরীতে সুবিধাজনক নয় বলে বিবেচনা করেছে।"

প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনের প্রক্রিয়া এবং চূড়ান্ত ফল- কোনটাই বিদেশি রাষ্ট্র দ্বারা প্রভাবিত হয়নি।

এই প্রতিবেদনটি এমন এক সময় প্রকাশিত হল যখন দেশটির বিচার বিভাগ এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের যৌথ তদন্তের ফলও একই রকম পাওয়ার কথা জানানো হয়।

তাদের প্রতিবেদনে বলা হয় যে, "রাশিয়া এবং ইরানের প্রচারণা কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে টার্গেট করেছিল যারা কিছু নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা আপস আপস করেছিল যারা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজ করেছিল।"

তবে প্রতিবেদনে বলা হয় যে, প্রভাব বিস্তার করার এসব প্রচেষ্টার সবই ছিল পরোক্ষ।

নথিগুলোতে বলা হয়, "ভোট প্রক্রিয়ার কোন কারিগরি বিষয় বদলে ফেলে ভোটার নিবন্ধন, ব্যালটে ভোটদান, ভোট গণনা কিংবা ফল ঘোষণা, কোন বিষয়েই বিদেশী কোন শক্তি হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছিল এমন কোন ইঙ্গিত আমাদের কাছে নেই..."

গত বছরের অগাস্টে মার্কিন গোয়েন্দা কমিউনিটি বলেছিল যে, চীন, রাশিয়া এবং ইরান আসছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে।

তদন্তে উঠে আসে যে রাশিয়া মি. বাইডেনকে কলঙ্কিত করতে চাইছিল। আর চীন এবং ইরান মি. ট্রাম্পের পরাজয় চেয়েছিল।