নারীর গোসলের ভিডিও ধারণকারী ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:০১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১ | ১৭৪

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোপন ক্যামেরায় নারীর গোসলের ভিডিও ধারণ ও দম্পতির অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণের চেষ্টার অভিযোগে ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমেল সিকদার (২৩) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাতে উপজেলা সদরের ইউনিয়ন পাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হিমেল সিকদার ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে হিমেল সিকদারকে ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সিয়াম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়। একইসাথে তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, প্রায় আট মাস আগে হিমেল সিকদার প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে করেন। তবে পরিবারের সদস্যরা তাদের বিয়ে না মানায় সে মির্জাপুর ইউনিয়ন পাড়া এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। হিমেল কয়েকদিন ধরে গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে ওই বাসার মালিকের মেয়ের গোসলের ভিডিও ধারণ করেন।

তিনি গত মঙ্গলবার রাতে ওই বাসার ভাড়াটিয়া দম্পতির অন্তরঙ্গ মুহুর্তের দৃশ্য ধারণ করতে ঘরের ধরণার সঙ্গে গোপন ক্যামেরা সাটাতে থাকেন। যা দম্পতি দেখে ফেলেন। পরে ভাড়াটিয়া ও বাসার মালিকেরা আসলে প্রথমে হিমেল গোপন ক্যামেরার কথা অস্বীকার করলেও তাদের চাপে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এছাড়া বুধবার দুপুরে তাঁর মুঠোফোন থেকে বাড়ির মালিকের মেয়ের গোসলের পাঁচটি ভিডিও দেখতে পান ভাড়াটিয়ারা। খবর পেয়ে রাত সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ তাঁকে মির্জাপুরের ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে।

এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন খান জানান, কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় ছাত্রলীগ নেবেনা। হিমেলকে ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসাথে তাকে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, হিমেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তাঁর মুঠোফোন ও গোপন ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নিয়মিত মামলা দিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।