মেজর সিনহাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে: র‌্যাব

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৪ পিএম, রোববার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ | ৬১৩
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ‘কায়েম করা রাজত্ব’ ও ইয়াবা পাচার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য জেনে যাওয়ায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। আজ রবিবার রাজধানীর কাওরান বাজারে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং কার্যালয়ে এর পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এসব তথ্য জানান।

সিনহা হত্যা বিষয়ে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে আশিক বিল্লাহ জানান, আদালতের নির্দেশে চারটি মামলারই তদন্ত করেছে র‌্যাব। এর মধ্যে তিনটি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।

চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া মামলা তিনটি সম্পর্কে লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, মামলাগুলোর মধ্যে টেকনাফ থানায় মাদক সংক্রান্ত একটি মামলা শহিদুল ইসলাম সিফাতকে আসামি করা হয়, আরেকটি মামলায় সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় সিনহা মো. রাশেদ এবং সিফতাকে আসামি করা হয়। আরেকটি মামলা পার্শ্ববর্তী রামু থানায় দায়ের করা হয়। মামলাটিতে শিপ্রা দেবনাথকে আসামি করা হয়। এ মামলাগুলোতে সবধরনের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযুক্তদের মামলাগুলো থেকে অব্যহতি দেয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।

 আর নিহত মেজর সিনহার বোনের করা হত্যা মামলায় আজ রবিবার চার্জশিট দায়ের করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিরপেক্ষভাবে তদন্তকালে মোট ৮৩ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন এই র‌্যাব কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এরই মধ্যে গ্রেফতারকৃত ১৪ আসামি একজন পলাতক একজনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৯ জন পুলিশ সদস্য, তিনজন এবিপিএন সদস্য এবং তিনজন বেসামরিক লোক। গ্রেফতারকৃতদের ১২ জনই এরই মধ্যে নিজেদের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ এবং এক পুলিশ কনস্টেবল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।