জোনভিত্তিক লকডাউন নিয়ে কেবিনেটে নির্দেশনা দেয়া হয়নি: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, সোমবার, ৮ জুন ২০২০ | ১৯৮

জোনভিত্তিক লকডাউন করা নিয়ে কেবিনেটে কোন আলোচনা, বা নির্দেশনা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রি পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তবে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের রোববার (০৭ জুন) নির্দেশনা দিয়েছেন। এটি করলে জনগণ আরও সতর্ক হবেন বলেও জানান তিনি।

সোমবার (০৮ জুন) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। 

এর আগে,  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, করোনা সংক্রমণের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে রাজধানীসহ সারাদেশকে তিনটি জোন- রেড, ইয়েলো ও গ্রিন ভাগে ভাগ করে কর্মপন্থা গ্রহণের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। রোববার (৭ জুন) থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বেশি করোনা আক্রান্ত এলাকায় জোন ভাগ করে এলাকাভিত্তিক লকডাউন করা হবে বলেও জানিয়েছিল তারা।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরো দু'মাস আগেই শুরু করা উচিৎ ছিলো জোন ভাগের কাজ।

জানা গেছে, করোনা মোকাবিলায় বুধ বা বৃহস্পতিবার থেকে জোনিং ব্যবস্থা পুরোদমে বাস্তবায়ন করবে সরকার। এজন্য একটি অ্যাপও তৈরি করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্রম অবনতির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর গত ১ জুন সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা সভায় বসেন। ওই সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা সংক্রমণের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করার কথা জানান।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে- বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়েলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা মুক্ত এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। রেড জোনকে লকডাউন করা হবে, ইয়েলো জোনে যেন আর সংক্রমণ না বাড়ে সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। সতর্কতা থাকবে গ্রিন জোনেও।

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই টানা ৬৬ দিনের ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন নির্দেশনা মানার সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্ধ থাকা গণপরিবহনও (বাস, লঞ্চ, ট্রেন) চালু হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি নেই।