এসএসসি’র নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

সখীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:৫১ পিএম, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৯ | ২০৮

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি’র নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকার লোভে ইচ্ছে করে ফেল করানো হয়েছে, পূণরায় তাদের খাতা মূল্যায়ন করে ফরম পূরণের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও প্রতিষ্ঠানের অফিসকক্ষে শিক্ষকদের তালাবদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। 

ওইসব শিক্ষার্থীরা শনিবার সকাল১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সখীপুর-সাড়র দিঘী সড়কের বড়চওনা বাজারে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে শিক্ষকদের তালাবদ্ধ করে রাখে।

এছাড়াও তারা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাল মিয়ার বিরুদ্ধে এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য ৫০জনের কাছ থেকে ফরম পূরণের কথা বলে ৮ থেকে ১০ হাজার করে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ করেন।

পরে খবর পেয়ে সখীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আয়শা জান্নাত তাহেরা ও  ওসি (তদন্ত) এএইচ এম লুৎফুল কবির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন এবং শিক্ষকদের মুক্ত করেন। এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আন্দোলনরত অকৃতকার্যকারী শিক্ষার্থীদের দাবি মোতবেক তাদের সামনে খাতা পূণরায় মূল্যায়ণ করা হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন তুলে নেয়।  

জানা যায়, উপজেলার বড়চওনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালের এসএসসি’র নির্বাচনী পরীক্ষায় নতুন ও  পুরাতমিলে ১০৫ জনশিক্ষার্থী অংশ নেয়। 

এদের মধ্যে ১২জন নির্বাচনী পরীক্ষায় কৃতকার্য হয় এবং বাকী ৯৩ জনই এক থেকে একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। এতে করে ওই বিদ্যালয়ের ১২জন পরীক্ষার্থী বাদে বাকি ৯৩ জনের ফরম পূরণের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে অকৃতকার্য ৯৩ জনপরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। 
    
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায় , নির্বাচনি পরীক্ষায় ১০৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিলেও প্রধান শিক্ষক অকৃতকার্যদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের কৌশল হিসেবে মাত্র ১২জনকে পাশ করিয়েছেন। কোনো কোনো শিক্ষার্থী এক বিষয়ে পাশ নম্বরের চেয়ে এক বা দুই কম পেলেও তাদেরকেও শুধু টাকা আদায়ের জন্য অকৃতকার্যের তালিকায় রেখেছেন।
 
এ ব্যাপরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাল মিয়া তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক নয়। তাদের খাতা সঠিকভাবেই মূল্যায়ণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ফরম পূরণের নামে নেয়া সকল টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।  

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষাকর্তকর্তা মফিজুল ইসলাম বলেন- ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম মোতাবেক নির্বাচনি পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের ফরম পূরণের কোনো সুযোগ নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক ফরমপূরণের আশ্বাস দিয়ে নির্বাচনি পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে থাকলে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিয়ে থাকলে তাকে আদায়কৃত টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।