বাংলাদেশি প্রবাসীদের সাথে ম্যানচেস্টার সিটি মেয়রের সাক্ষাৎ

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৭ পিএম, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০১৯ | ৮৩৭

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের ম্যানচেস্টার প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সিটি মেয়র জে মোরান। রোববার নির্বাচনী প্রচারণার্থে কয়েকশ প্রবাসীদের সাথে মিলিত হয়ে মেয়র জে মোরান নভেম্বরে পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে বাংলাদেশিদের সহযোগিতা কামনা করেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কানেকটিকাট ডেমোক্রেটিক পার্টির এশিয়ান আমেরিকান এবং প্যাসিফিক আইল্যান্ডের (এএপিআই) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান অপুর তত্ত্বাবধানে এ নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে মেয়র জে মোরান বলেন, গত এক দশকে ম্যানচেস্টারে বাংলাদেশিদের সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ শহরে বসবাসকারী প্রবাসীরা অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। আগামী নির্বাচনে পরিচালনা পর্ষদের (বোর্ড অব ডাইরেক্টর) প্রার্থী হিসেবে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই, আর এ জন্য প্রবাসী বাংলাদেশি আমেরিকান ভোটারদের কাছ থেকে ভোট প্রত্যাশী করছি।

এ সময় নির্বাচিত হলে প্রবাসীদের সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন মেয়র জে মোরান।

মেয়র জে মোরান ২০১৪ সাল থেকে ম্যানচেস্টারের মেয়র এবং এর আগে দু’বারেরও বেশি ডেপুটি মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রথম ২০০৯ সালে পরিচালনা পর্ষদে নির্বাচিত হন এবং এর আগে দু’বছর শিক্ষাবোর্ডে দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রায় ৩০ বছর ধরে কলেজের অ্যাথলেটিক প্রশাসক হিসাবে কাজ করেছেন জে মোরান। তিনি বর্তমানে সাউদার্ন সিটি স্টেট ইউনিভার্সিটির অ্যাথলেটিক ডিরেক্টর। এর আগে ব্রিজপোর্ট ইউনিভার্সিটি এবং আলবার্তার ম্যাগনাস কলেজ এডি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

তিনি সেন্ট জোসেফ কলেজের সহকারী অ্যাথলেটিক পরিচালক এবং ক্রস কান্ট্রি কোচও ছিলেন। এছাড়া ইউকন-এ ইন্টার্রামালাল এবং বিনোদনমূলক সমন্বয়কারীও ছিলেন।

আজীবন ম্যানচেস্টারের বাসিন্দা জে মোরান প্যাটি গ্রোন্ডা মোরানের সাথে ৩০ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ক্রিস্টেন, এলিজাবেথ, জেমি এবং জুলিয়া মোরানের গর্বিত বাবা-মা তারা।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- কংগ্রেসম্যান জন লারসন, স্টেট সিনেটর সৌদ আনোয়ার, অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম টং, ডিএনসি নেতা ন্যান্সি ডিনার্ডো ও সেন্ট্রাল কানেকটিকাট চেম্বার অ্যান্ড কমাসের বোর্ড অব ডাইরেক্টর মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান অপু।

এছাড়াও কানেকটিকাটের ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃবৃন্দসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন।