টাঙ্গাইল জেলার মন্ডপ পরিদর্শন করলেন পূজা উদ্যাপন পরিষদ

তনয় বিশ্বাস
প্রকাশিত: ১০:১৬ এএম, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০১৯ | ৩৫২

টাঙ্গাইল জেলার প্রতিটি উপজেলায় বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

৪ অক্টোবর শুক্রবার মহাষষ্ঠীতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলার ১২ টি উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ড পরিষদর্শন করেন তারা। প্রত্যেকটি উপজেলার কেন্দ্রিয় দূর্গা মন্দির পরিদর্শনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খোঁজ-খবর নেন নেতৃবৃন্দ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে, সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী এবং ব্যবসায়ী প্রদীপ কুমার গুন ঝন্টু, সহ-সভাপতি বিমল কুমার চন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার সাহা, সহ-প্রচার সম্পাদক সুবীর কুমার দে টুকু, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যাংকার তুলসী প্রসাদ গুহ। এছাড়া এসময় বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সভাপতি উদয় লাল গৌড়, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার দাসসহ প্রত্যেকটি উপজেলার পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আনন্দ মোহদ দে জানান, “ ধর্ম যার যার উৎসব সবার। বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। এবছর আমাদের টাঙ্গাইল জেলায় পূজা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা পেয়েছি। পূজা শুরুর পূর্বে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে বেশ কয়েকটি প্রস্তুতিমূলক সভা এবং মতবিনিময় হয়েছে। তাই টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় এর প্রতি পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা মোতাবেক সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে ৫০০ কেজি চাল বিতরণ করা হয়েছে। আশা করছি সকলের সহযোগিতায় এবছর সুষ্ঠভাবে পূজা সম্পন্ন হবে। ”

বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুন ঝন্টু জানান, “জেলার ১২ টি উপজেলার ১১৮৭ টি পূজা মন্ডপে এবছর দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসন সুষ্ঠভাবে পূজা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। তাই জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করছি। আশা করছি এবছর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সকল ধর্মের মানুষের সমন্বয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা সম্পœন হবে।”