কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে কামারের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

মামুন সরকার ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:৫৪ এএম, রোববার, ৪ আগস্ট ২০১৯ | ২৭১

১২ আগস্ট মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আযাহা বা কোরবানির ঈদ। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কোরবানির আনুসাঙ্গিক হাতিয়ার কিনতে কামারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

ছবিটি রবিবার উপজেলার গোবিন্দাসী হাট থেকে তোলা হয়েছে। কোরবানির সময় যত ঘনিয়ে আসছে ক্রেতার সংখ্যা ও কামারদের ব্যস্ততা ততই বেড়ে চলেছে। কোরবানির আনুসাঙ্গিক হাতিয়ার ছুরি, দা, চাপাটি, বটি, চাকু ও পশু জবাই করার বড় ছুরিসহ ধারালো অস্ত্র বানাতে ব্যস্ত উপজেলার কামার শিল্পীরা। ভোর থেকে মধ্যরাত্র পর্যন্ত কাজ করছেন তারা। কাজের চাপ বেশি থাকায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও তাদের কাজে সহযোগীতা করছেন।

উপজেলার ভূঞাপুর, বামনহাটা,শিয়ালকোল, গোবিন্দাসী, নিকরাইল, কয়েড়া, মাটিকাটাসহ বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজার গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় কামারের দোকান গুলোতে ক্রেতার সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে কামার শিল্পীরা অনেকটাই খুশি। হাটগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ছুরি বিক্রি হচ্ছে ৩০-১০০ টাকা, চাপাটি ৪’শ থেকে ১২’শ টাকা, বটি ৩’শ থেকে ১ হাজার টাকা এবং কোরবানির একটি ছরা ৪’শ থেকে ১ হাজার ৬’শ টাকা। বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব হাতিয়ার কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, ছুরি, দা, চাপাটি, বটি, চাকু এসব হাতিয়ারের দাম হাতের নাগালেই রয়েছে। তবে পশু জবাই করার বড় ছুরির দাম একটু বেশি।

উপজেলার গোবিন্দাসী হাটে দোকান নিয়ে আসা বাদশা, শরিফ, নির্মল, স্বম্পন কামার বলেন, আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে কোরবানির হাতিয়ার তৈরি করতে ভোর থেকে মধ্যরাত্র পর্যন্ত কাজ করছি আমরা। এসব হাতিয়ার পাইকারি বিক্রি না হওয়ায় অকেটাই কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। তবে ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এসব হাতিয়ার বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।

গোবিন্দাসী কামার বাড়ীর সাহেব কামার বলেন, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় ঈদুল আযাহার সময় আমাদের কাজ তিনগুণ বেড়ে যায়। কারণ কোরবানির ঈদে লোহা সামগ্রী বিক্রি হয় অনেক বেশি। পশু জবাই করার জন্য ধারালো অস্ত্রের প্রয়োজন। যায় ফলে সবাই এসময় কোরবানির পশু জবাইরের অস্ত্র, ছুরি, চাপাটি, বটিসহ নানা ধরনের হাতিয়ার বানাতে আসে।