ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরে ফেরা নির্বিঘ্ন করতে

২টি ফ্লাইওভার ৪টি আন্ডারপাস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:০৬ এএম, শনিবার, ২৫ মে ২০১৯ | ৫২৪

আসন্ন ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে ২টি ফ্লাইওভার ও ৪টি আন্ডারপাস যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ফ্লাইওভার ও আন্ডার পাসগুলো উদ্ভোধন করেন বলে টাঙ্গাইল সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল এহসান জানিয়েছেন।

সূত্র জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলাসহ ২৬টি জেলার ৯০টি রোডের বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করে থাকে। দেশের ব্যস্ততম এই মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ২০১৩ সালে দুই লেনের এই মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এরপর ভূমি অধিগ্রহণ ও অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়- যা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।

তবে সূত্র জানান, প্রকল্পে দু’টি সার্ভিস লেন, ২৯টি নতুন ব্রিজ, চারটি ফ্লাইওভার ও ১৪টি আন্ডারপাস সংযুক্ত হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য মাঝে মধ্যে মহাড়কের বিভিন্ন স্থানে যানযটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ঈদ মৌসুমে এই যানজট নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়। ভয়াবহ এই যানজটে আটকা পড়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার ধেরুয়া রেলক্রসিং এলাকায় যানজটের আটকা পড়ে দুর্ভোগের চিত্র ছিল বর্ণনাতীত। তবে মহাসড়কে ধেরুয়া এলাকার ফ্লাইওভার ও সেতুগুলোর কাজ শেষ হলে গত বছর ঈদুল আজহার আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যানচলাচলের জন্য খুলে দেয়ায় ওই ঈদে যানজটের সেই চিরচেনা চিত্র ছিল না বললেই চলে।

সেই থেকে মহাসড়কের চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, হাটুভাঙা রোড, দেওহাটা, মির্জাপুর, কুর্নী, ধল্যা, পাকুল্যা, নাটিয়াপাড়া, ঘারিন্দাসহ প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় বিগত দিনে বিভিন্ন যে যানজট লেগে থাকতো তা এরই মধ্যে অনেকটাই দুর হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র এবং ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

সূত্র আরও জানান, আসন্ন ঈদে এই মহাসড়ক দিয়ে হাজরো মানুষের ঘরে ফেরা নির্বিঘ্ন করতে শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২টি ফ্লাইওভার এবং ৪টি আন্ডারপাসের উদ্বোধন করেন।

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ফারুক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন এমপি, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান, জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাজাহান আনসারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব সভাপতি জাফর আহমেদ, মিজৃাপুর পৌরসভার মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমন ছাড়াও জেলার জনপ্রতিনিধি ও সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই ফ্লাইওভার দু’টি হলো কোণাবাড়ি ও চন্দ্রা। অপরদিকে আন্ডারপাসগুলো হলো কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও টাঙ্গাইল সদরের ঘারিন্দা। এরমধ্যে কোণাবড়ি ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ১৬৪৫ মিটার, প্রস্থ ১৮.১ মিটার, চন্দ্রা ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ২৮৮ মিটার, প্রস্থ ১৮.১ মিটার।

অপরদিকে মির্জাপুর, কালিয়াকৈর ও ঘারিন্দা আন্ডার পাসের দৈর্ঘ্য ৪শ মিটার প্রস্থ ১৮.১ মিটার ও দেওহাটা আন্ডার পাসের দৈর্ঘ্য ২৬০ মিটার ও প্রস্থ ১৮.১ মিটার বলে সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম জানিয়েছেন।

আলোকিতপ্রজন্ম.কম/শামসুল ইসলাম সহিদ