হাসপাতালের বাথরুমে উদ্ধার নবজাতক গহীনের ঠিকানা ‘ছোটমনি নিবাস’

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৭ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৯ | ৬১১

শিশু হাসপাতালের বাথরুম থেকে উদ্ধার করা নবজাতকটির ঠিকানা এখন আজিমপুরের সমাজসেবা অধিদফতরের ‘ছোটমনি নিবাস’। নবজাতকটির নাম রাখা হয়েছে গহীন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ছোটমনি নিবাস’ এর উপ-তত্ত্বাবধায়ক জুবলি বেগম রানুর কাছে তুলে দেন। গহীনকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে আজিমপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, পিতৃ-মাতৃ পরিচয়হীন ০ থেকে ৭ বছর বয়সী পরিত্যক্ত, পাচার উদ্ধার করা শিশুদের ছোটমনি নিবাসে লালনপালন করা হয়।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজসেবা অধিদফতর ৬ বিভাগে অবস্থিত ৬টি ছোটমনি নিবাসে শিশুদের মাতৃস্নেহে প্রতিপালন, রক্ষণাবেক্ষণ, খেলাধুলা ও সাধারণ শিক্ষা প্রদান করছে।

তিনি বলেন, শিশুটিকে প্রকৃত অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দিতে শিশু হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। পাশাপাশি ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ শিশুটিকে শিশু হাসপাতালের রেখে গেল কিনা কিংবা কোন অসাধুচক্র শিশুটিকে অন্য কোথাও থেকে চুরি করে কাউকে দেওয়ার জন্য এখানে এনেছে কি না সে বিষয়েও বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে।

এদিকে শিশুটিকে দত্তক নিতে ডিসি তেজগাঁওয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেশ বিদেশ থেকে হাজার হাজার আগ্রহীরা যোগাযোগ করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, তেজগাঁও বিভাগে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের ফেসবুক ইনবক্স, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবারে শিশুটিকে দত্তক নিতে দেশ বিদেশ থেকে  হাজার হাজার অনুরোধ আসে। অনেকেই  শিশুটির নামে বিপুল অর্থ, বাড়ি, গাড়ি,  ফ্ল্যাট লিখে দিয়ে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই শিশুটির বর্তমান স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানতে চেয়েছেন।

নবজাতক গহীনকে দত্তক নিতে আগ্রহী দম্পতিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত উপযুক্ত দম্পতি নির্বাচন করবেন। তবে একাধিক আবেদন জমা পড়লে আবেদনকারীদের  সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আদালত উপযুক্ত দম্পতি নির্বাচন করবেন।

গত মঙ্গলবার দুপুরে শেরেবাংলা নগর থানাধীন শিশু হাসপাতালের বাথরুম থেকে নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর শিশু হাসপাতাল কতৃপক্ষ শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবসা করে এবং জানায় শিশুটির বয়স ৩ দিন হতে পারে।

ফুটফুটে শিশুটিকে একনজর দেখতে ও দত্তক নেওয়ার আশায় শিশু হাসপাতালে ভিড় করেছেন শত শত মানুষ। এতে শিশুটির স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় শিশু হাসপাতালে তার কেবিনের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।