বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জে ধানের চেয়ে ভূট্রা চাষে দ্বিগুণ দাম পাচ্ছে চাষীরা

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:০৬ পিএম, সোমবার, ১৩ মে ২০১৯ | ২৯৯

ধানের বাজারে দাম পাচ্ছে না চাষীরা। তাই বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চাষীরা ধানের পরিবর্তে ভূট্রা চাষ করে দ্বিগুণ দাম পাচ্ছে। যার কারনে চাষীরা ধানের বিকল্প হিসেবে ভূট্রা চাষে বেশি আগ্রহ হচ্ছে। স্বল্প খরচে অধিক ফলন অপরদিকে ধানের চেয়ে দ্বিগুণ দাম পাওয়ায় চাষীরা বেজায় খুশি।

সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কিসমতজামুয়া গ্রামের চাষী শাহ আলম খান ৯৯ শতক জমিতে ভূট্রার আবাদ করেন। জমিতে নিজ শ্রম দিয়ে তার খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বছরে ভূট্রা চাষের জন্য মোরেলগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিনামূল্যে সার ও বীজ সহায়তা পেয়েছেন।

অগ্রহায়ন মাসে আবাদ করে বৈশাখ মাসের শেষ দিকে ফসলের কর্তন ও বিক্রি শুরু করেন। এক একটি ভূট্রার মোচা পাইকারী ৫ টাকা ও খুচরা ১০ টাকায় বিক্রি হয়। তিনি এ বছরে তার জমিতে সাড়ে ১৩ হাজার মোচা উৎপাদিত হয়েছে। যার পাইকারী মূল্য হবে ৬৭ গাহার ৫ শ’ টাকা। মন দরে ৯ শ’ টাকা। একই জমিতে ধান চাষ করলে তিনি পেতেন ৪০ মন ধান যার বর্তমান বাজার দর সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা।

চাষী আব্দুল বারেক শেখ জানান, তিনি ৬৬ শতক জমিতে ভূট্রা চাষ করেছেন। পাবেন ২৫-২৬ মন। সেখানে ধান চাষ করলে পেতে ১৫-১৬ মন। চাষী হারুন অর রশিদ ৩৩ শতক জমিতে ভূট্রা চাষ করে ৫ হাজার ৭ শ’ মোচা উৎপাদন করেউেৎপাদন করেছেন। যার খুচরা মূল্য হবে ২৮ হাজার ৫শ’ টাকা। চাষী শাহ আলম খান জানান, ধানের চেয়ে ভূট্রা চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়। দামও ধানের চেয়ে দ্বিগুণ। তাই ধানের পরিবর্তে ভূট্রা চাষ করেছেন।

ভূট্রা চাষে উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মেজবাহ আহম্মেদ ও বলইবুনিয়া ব্লকের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্লক সুপার ভাইজার মিজানুর রহমান পরামর্শ ও সার্বক্ষনিক সহযোগী তারা পেয়েছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ জানান, তাপমাত্রা যে হারে বৃদ্ধি সেক্ষেত্রে ধানের চেয়ে ভূট্রা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়া ধানের চেয়ে ভূট্রার দাম দ্বিগুন। তাই চাষীরা ভূট্রা চাষে কৃষকরা বেশি আগ্রহ হচ্ছে।