ঘূর্ণিঝড় ’ফর্ণী’ভোলার উপকূল এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে

ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:০৯ এএম, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯ | ২৫৮

ঘূর্ণিঝড় ফর্ণী মোকাবেলায় ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার নদীর উপকূলিয় এলাকা থেকে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সাগর মোহনা ও নদী এলাকা চরম উত্তাল হওয়ার আগেই চরের মানুষকে সরিয়ে আনার কাজ শুরু করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২মে) দুপুরে দূর্যোগ মোকাবেলায় এক জরুরি সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, আশ্রয়ণের জন্য ৫৫৭টি সাইক্লোন শেল্টার, ৩০টি মাটির কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া জেলার সব স্কুল-কলেজ মাদ্রাসার ভবনগুলো খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দূর্যোগকালীন সময়ের জন্য ৫ লাখ টাকা, ২০ হাজার টন চাল ও ২৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া ৯২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়।

রেডক্রিসেন্ট কর্মীরা নদী পাড় এলাকাসহ চরাঞ্চলে মাইকিং করে নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে বলে জানান রেডকিস্টে সোসাইটির সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ও যুব রেডক্রিসেন্ট টিম লিডার।

জেলা প্রশাসক জানান, মনপুরা উপজেলার চর নিজাম ও ঢাল চর এলাকার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য ওই এলাকায় একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি টিম পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া জেলার মধ্য নদীতে অবস্থিত ১৯টি চরে বসবাসকারী প্রায় ৫ লাখ মানুষকে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়ার জন্য কোস্টগার্ড সদস্য ও স্থানীয় সিপিপি কর্মীরা কাজ করছেন।

তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে স্কুল কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বিতল ভবনগুলো খোলা রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলায় রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির ১০ হাজার ২০০ কর্মী ইতিমধ্যে মাঠে সতর্ক প্রচারণায় কাজ করছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

৭ নম্বর সতর্ক সংকেত জারির পর ভোলার সঙ্গে অন্যান্য জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বন্ধ রাখা হয়েছে অভ্যন্তরীন রুটের সকল লঞ্চ ও ফেরি চলাচল।