মির্জাপুর কলেজ মাঠে খেলাধুলা না চললেও চলছে ইট বালির ব্যবসা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:০৪ এএম, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ | ৫০৫

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর সরকারি কলেজের মাঠে খেলাধুলা না চললেও জমজমাটভাবে চলছে ইট, বালি ও ভাঙ্গারি ব্যবসা। কলেজ মাঠের একাংশে জনৈক ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবত ইট বালুর ব্যবসা করে আসছে বলে জানা গেছে। উপজেলা সদরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজ চলমোন থাকায় বর্তমানে মির্জাপুর সরকারি কলেজের মাঠটি একমাত্র খেলার মাঠ।

এই মাঠের অধিকাংশ জায়গায় ইট, বালু, গাছের খন্ড ও ভাঙ্গারি জিনিস পত্রের স্তুপ রয়েছে। এতে করে মাঠটিতে খেলাধুলা করতে খেলোয়ারদের নানামুখী সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যুব সমাজকে মাদক মুক্ত করে গড় তুলতে খেলাধুলাই হচ্ছে প্রধান উপায় বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। কিন্তু মাঠে এই সমস্যার কারনে অনেকে খেলাধুলায় আগ্রহ হারাচ্ছে। যা আমাদের যুব সমাজের জন্য অনেকটা ক্ষতিকর।

কলেজ মাঠের নিয়মিত খেলোয়ার ওয়াকিল আহমেদ, অনিক সরকার, রাসেল ও ইমন বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে করে যুব সমাজ আড্ডা না দিয়ে খেলাধুলায় মনোনিবেশ করে। কিন্তু খেলার মাঠ যদি ব্যবসায়ীদের দখলে থাকে তাহলে কিভাবে আমরা খেলাধুলা করবো। আমরা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি তারা যাতে আমাদের খেলার মাঠটি খেলার উপযোগী করে দেন।

মির্জাপুর পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আহমেদ বলেন খেলার মাঠ যদি খেলার উপযোগী না হয় তাহলে খেলাধুলা চলবে কিবাবে? তিনি অবিলম্বে মাঠটি খেলার উপযোগী করে তুলতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দুষ্টি আকর্ষন করেন।

উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ফুটবলার সৈযদ ওয়াহীদ ইকবাল বলেন, যদি কেউ খেলার মাঠ ব্যবসার উদ্দেশ্য ব্যবহার করে থাকে তাহলে সে কাজটি ঠিক করেনি। যুব সমাজ যদি খেলাধুলার সুযোগ না পায় তাহলে তারা মাদকের দিকে ধাবিত হবে।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির বলেন খেলাধুলার মান উন্নয়নে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটির উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় মির্জাপুর কলেজ মাঠটি ক্রীড়া মোদিদের একমাত্র খেলার স্থান। কিন্তু মাঠে ইট বালি ভাঙ্গারি ব্যবসা চলায় স্থানীয় ক্রীড়া মোদিদের খেলাধুলায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।

মির্জাপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খাদিজা ইয়াসমিন বলেন, যারা ইট বালু রেখে ব্যবসা করছে তাদেরকে ডেকে বলা হয়েছে তারা অতি সত্ত্বর সরিয়ে নিবে বলে জানিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোঃ আবদুল মালেক বলেন, এ বিষয়ে মির্জাপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে মাঠ থেকে ইট, বালি গাছের খন্ড ও ভাঙ্গারি জিনিসপত্র দ্রুত অপসারনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।