বাগাতিপাড়ায় ফুল গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনে প্রতিনিধি দলের এলাকা পরিদর্শন

বাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:০৩ পিএম, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৯ | ৫৮৯

দেশে প্রথমবারের মত ফুল গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ জনের এক প্রতিনিধি দল নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। গতকাল সকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. ফকির আজমল হুদা’র নেতৃত্বে দলটি উপজেলার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। এছাড়াও ফুল চাষী ও ব্যবসায়ীদের সাথেও এক মতবিনিময় করেন দলটি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে এখন ফুল চাষ হচ্ছে। অর্থকরী ফসল হিসেবে ফুলের বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। ফুল চাষের ফলে নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু দেশে এখনও ফুলের জন্য কোন গবেষনা কেন্দ্র নেই।

বর্তমান সরকার প্রথম বারের মত ‘ফুল গবেষনা কেন্দ্র’ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই লক্ষ্যে বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল।

বিশেষজ্ঞ দলটি বাগাতিপাড়া উপজেলার ফুল গ্রাম হিসেবে পরিচিত উপজেলার ঠেঙ্গামারা গ্রামের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন এবং গবেষনা কেন্দ্র স্থাপনের সমীক্ষা চালান। এসময় তিনি বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউট (বিএআরআই) এ সংক্রান্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

এদিকে একই দিনে উপজেলা কৃষি অফিসার মোমরেজ আলীর সভাপতিত্বে কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১৮ জন ফুল চাষী ও ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন বিশেষজ্ঞ দলটি।

এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. ফকির আজমল হুদা।

উল্লেখ্য, প্রায় এক দশক পূর্বে বাগাতিপাড়ায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ শুরু হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ অঞ্চলে ফুল চাষের ফলে নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টির খবর প্রকাশিত হয়। এর ফলে এ উপজেলার ঠেঙ্গামারা গ্রাম এখন ফুল গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পায়।