টাঙ্গাইলে ভূয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

টাঙ্গাইলে ভূয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যরা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে শনিবার র্যাব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, র্যাব-১২ এর টাঙ্গাইল সিপিসি-৩ কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল পৌরএলাকার সদর থানা ছয়আনী পুকুর পাড়ে দক্ষিণপাশে মীর রেজিয়া বেগমের দুইতলা বিল্ডিং (থানা স্টোর) এর দ্বিতীয় তলায় অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় ভূয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের সদস্য মোঃ সাফিন মিয়া (১৮), পিতা মোঃ শাহজাহান আলী, মোঃ সজিব মিয়া (১৮) পিতা মোঃ রফিকুল ইসলাম,উভয়ের বাড়ি গোপালপুর থানার বড়কুমুল্লি গ্রামে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি ল্যাপটপ দুইটি মোবাইল ফোন, চারটি সিমকার্ড সহ ফেইসবুক মেসেঞ্জার এর কথোপকথোন এর স্ক্রীন শর্ট ২৬টি পাতাসহ গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত সাফিন ও সজিব সদর থানার ছয়আনী পুকুরপাড় (থানা স্টোর) দ্বিতীয় তলায় মীর রেজিয়া বেগমের দুইতলা বিল্ডিং থাকতো বলেও জানা গেছে।
গ্রেফতারের পরে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জানায়, সে মিথ্যা প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য এবং বিকাশের মাধ্যমে প্রতারনামুলক ভাবে টাকা নিত।
র্যাব আরো জানায়, তাদের ব্যবহৃত মোবাইলে ও ল্যাপটপে ফেইসবুক মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে ছদ্ম নাম আবির খান দিয়ে বিভিন্ন পেইজ খুলে যাহা- ssc, Question out ২০১৯, সে ফেইসবুজ মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে তার ফেইসবুক মেসেঞ্জার ফ্রেন্ড মোঃ ছাব্বির আহমেদ সুমন,উজ্জল বিশ্বাস,জুয়েল, ইয়াছিন দেরকে চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র টাকার বিনিময়ে দিবে মর্মে কথোপকথোন করে।
র্যাবের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ হাসান আরাফাত জানান, এস এস সি পরীক্ষা-২০১৯ চলাকালিন সময়ে র্যাবের এ ধরনের আভিযানিক কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং আরো জোরদার করা হবে। আইন শৃংখলা বাহিনীর এ ধরনের তৎপরতা রোধ করে বাংলাদেশকে একটি নকল মুক্ত পরীক্ষা উপহার দিতে পারবে বলেও তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন।