কিশোরগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ন বিদ্যুতের খুটি আতঙ্কে এলাকাবাসী 

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:৫৫ পিএম, বুধবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৭৯৭
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের সরঞ্জাবাড়ি গ্রামে বসতবাড়ির ঘরের উপর পল্লী বিদ্যুতের ২৫ কেভি ট্রান্সফারমারসহ ঝুঁকিপূর্ণ একটি কাঁঠের খুঁটি থাকায় চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে কয়েকটি পরিবারের। 
 
খুঁটিটি সরানোর দাবিতে কিশোরগঞ্জ সাবজোনাল অফিসসহ নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করেও কোনও ফল না আসায় পরিবারগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
 
সরজমিনে গিয়ে এবং লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, চাঁদখানা ইউনিয়নের সরঞ্জাবাড়ি গ্রামে গত প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর আগে গ্রামের শতাধিক মানুষকে সদস্য বানিয়ে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান করা হয়। সংযোগ দেওয়ার সময় রট সিমেন্ট ও বালু দিয়ে তৈরী পোলের বদলে কাঠের তৈরী (খুটি) পোল স্থাপন করে সেই পোলে তাঁর দিয়ে সংযোগ দেন উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি নম্বর ৩সি-৭১-৭।
 
এর মধ্যে সরঞ্জাবাড়ি গ্রামের আকবর আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান, শাহান উদ্দিনের ছেলে মমতাজ আলীর বাড়ি সংলগ্ন মনছুর আলীর ছেলে মাসুদরানার বসতবাড়ির ঘরের উপর একটি কাঠের খুঁটির (পোল) সাথে ২৫ কেভির একটি ট্রান্সফারমারসহ সংযোগ প্রদান করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন আগে স্থাপন করা কাঠের খুঁটিটি পানিতে ভিজে ও ঘুণে ধরার কারণে সেটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরে। যে কোন মুহূর্তে খুঁটিটি ভেঙ্গে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই খুঁটিটি সরানোর দাবিতে সরঞ্জাবাড়ি গ্রামের মনছুর আলীর ছেলে মাসুদরানা গত আটমাস আগে কিশোরগঞ্জ সাব জোনাল অফিস ও নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে খুটিটি সরানোর জন্য লিখিত আবেদন করলে নীলফামারী পল্লী বিদ্যুতের লোক তা দেখে যান। পরবর্তীতে নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯৯১নং স্বারক অনুযায়ী খুঁটিটি স্থানান্তর করার জন্য পোল স্থানান্তর ব্যায় বাবদ অভিযোগকারী মাসুদ রানাকে নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বরাবর ৫৯০৮৫ টাকা জমা দিতে বলেন।
 
কিন্তু মাসুদরানা পোলটি স্থানান্তর ব্যায় বাবদ উক্ত টাকা জমা দিতে না পারায় দীর্ঘদিন থেকে পোলটি না সরানোর কারনে দিশেহারা হয়ে পরেছেন।
 
গ্রাহক মাসুদ রানা বলেন, আমার চার মেয়ে, দুটি মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। বাকি দুটি মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য বাড়ি পাকা করতেছি। কিন্তু ওই খুটিরি জন্য বাড়ির কাজ করতে পারছিনা। ফলে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছিনা।
 
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ সাব জোনাল অফিসার (এজিএম) কাজী মোহাম্মদ শিফাত রেজা ইবনে হক বলেন, যদি খুটিটি ঝুঁকিপূর্ণ হয় তাহলে আমরা অব্যশই সেটি পরিবর্তন করে দেব। কিন্তু যদি খুটিটি সরাতে বলা হয় তাহলে অব্যশই ওই গ্রাহককে স্থানান্তর ব্যায় বহন করতে হবে।