ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু: স্বজনদের দাবি হত্যা


ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নে গোলাপী(৩০) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গৃহবধুর স্বামী ও তার পরিবারের দাবী সে আত্নহত্যা করেছে।
কিন্তু স্থানীয় ও গৃহবধুর বাবার বাড়ির লোকজন বলছে ভিন্ন কথা। গৃহবধুর বাবার বাড়ি ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন,এই মেয়ে আত্নহত্যা করার মতো মেয়ে না।তাকে মেরে ফেলে সিলিংয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে যেন কেউ সন্দেহ করতে না পারে।
জানা গেছে,পাঁচ বছর আগে ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার জাউনিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে গোলাপীর সাথে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের খতিবর রহমানের ছেলে বাবুল হোসেনের বিয়ে হয়।এরমধ্যে তাদের পরিবারে একটি ছেলে সন্তানও আসে।
কিন্তু স্থানীয় ও গৃহবধুর বাবার বাড়ির লোকজন বলছে ভিন্ন কথা। গৃহবধুর বাবার বাড়ি ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন,এই মেয়ে আত্নহত্যা করার মতো মেয়ে না।তাকে মেরে ফেলে সিলিংয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে যেন কেউ সন্দেহ করতে না পারে।
জানা গেছে,পাঁচ বছর আগে ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার জাউনিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে গোলাপীর সাথে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের খতিবর রহমানের ছেলে বাবুল হোসেনের বিয়ে হয়।এরমধ্যে তাদের পরিবারে একটি ছেলে সন্তানও আসে।
বিয়ের পর থেকেই গোলাপীর স্বামী ও বাড়ির লোকজন তার উপর চালাতো অমানবিক নির্যাতন।সর্বশেষ রবিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর ভেতর তুমুল ঝগড়া হয়।এক পর্যায়ে স্বামী তাকে মারধরও করে।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে গোলাপীর কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা তাদের বাড়ির দিকে এগিয়ে যায়,রাতে কি হয়েছিল জানতে।এসময় তাদের শোয়ার ঘরের দরজায় তালা ঝুলতে দেখলে তাদের সন্দেহ হয়।পরে তালা ভাঙ্গলে স্থানীয়রা গৃহবধু গোলাপীর লাশ ঘরের সিলিংয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
স্থানীয়দের দাবী গৃহবধুর স্বামী বাবুল ও তার পরিবার তাকে রাতেই মেরে ফেলে সিলিংয়ে ঝুলিয়ে ভোর বেলা ঘরে তালা ঝুলিয়ে বাহিরে চলে যায়।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই পারভীন আক্তার জানান,গৃহবধুর মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব না। তবে তার শরীরে হাল্কা আঘাতের চিহ্ন আছে।ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখলেই বোঝা যাবে এটা হত্যা না আত্নহত্যা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: মোস্তাফিজুর রহমান।