অভাব অনটন আর বয়সের কাছে হার না মানা
চাওয়া পাওয়া তার একমাত্র রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতি


বলা যায় কবি গানই তার সঙ্গী। ১৯৭২ সালে কুষ্টিয়ার উদিবাড়ি গ্রামে তার গুরু মুনছুর মওলানার বাড়িতে কবিগান গেয়ে সবাইকে চমকে দেন। ১৯৭৪ সালে বিটিভিতে গান করেন। এখন খুলনা বেতারের শিল্পী। তার কণ্ঠে বিকশিত হয়েছে মরমী কবি পাগলাকানাই এর মর্মবানী।
তিনি সবচে বেশি গেয়েছেন পাগলাকানাইয়ের গান। পাগলাকানাইসহ ঝিনাইদহের ৫৯ জন সাধকের তাত্বিক গান রয়েছে মতলেব ফকিরের ভন্ডারে। তিনি পড়া লেখা জানেন না বলে গানগুলো সংরক্ষন করতে পারেন না। গানগুলো সুফি ও আধ্যাত্ববাদের সাক্ষি। গানের মধ্যে শাস্ত্র, কোরআন পাক ও হাদিস পাকের কথা রয়েছে।
মতলেব ফকিরের বয়স এখন ৪০ বছর। এই বৃদ্ধ বয়সেও তিনি সমানতালে গান গেয়ে চলেছেন। বয়স আর অভাবের কাছে গার মেনেছে কন্ঠ। জীবনে তার কোন চাওয়া পাওয়া নেই। চান রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতি। বছরে দুস্থ ভাতা হিসেবে সরকার থেকে বছরে যতসামান্য শিল্পী সম্মানী পান। তাতে তার সংসার চলে না। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
ঘরে আগুন লেগে সব ডকুমেন্ট পুড়ে গেছে। গান গেয়ে মানুষের মনের খোরাক যোগানো এই মানুষটি এখন নিজের পেটের খোরাক জোগাড় করতে পারছেন না। স্ত্রী সন্তান নিয়ে কষ্টের সংসার মতলেব ফকিরের। এখন এই দুস্থ গায়ক ঝিনাইদহ জজ কোর্টের পেছনে গয়াসপুর গ্রামে বসবাস করেন। তার সাথে যোগাযোগ 01703293435