ধনবাড়ীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টাকারীর বাড়ী-ঘর ভাংচুর

৪০ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা ২ জন গ্রেপ্তার

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:০৭ এএম, রোববার, ১৮ নভেম্বর ২০১৮ | ৪৫৩

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে পাইস্কা উচ্চ বিদ্যলয়ের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী (১৪) কে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টাকারী পাইস্কা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য শফিকুল ইসলাম ও তার বড় ভাই সুরুজ্জামান ওরফে বুটকালাই সুরুজের বাড়ী-ঘর ভাংচুরের ঘটনায় ধনবাড়ী থানায় ৪০ জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত শফিকুলের ভাতিজা ও সুরুজ্জামানের ছেলে মো. রুবেল মিয়া বাদী হয়ে শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) বাড়ী-ঘর ভাংচুরের অভিযোগে ৪০ গ্রামবাসীর নাম উলে­খ করে এবং আরও ২০/২৫ জনকে গং দিয়ে ধনবাড়ী থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার পরই শনিবার ভোরে পুলিশ উপজেলার কয়ড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে মজনু ফকির ও সেজনু মিয়া নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় এলাকাবসীর মাঝে গ্রেপ্তার আতংক বিরাজ করছে।

ধনবাড়ী থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের কয়ড়া গ্রামের মৃত আজগর আলী ফকিরের ছেলে পাইস্কা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য শফিকুল ইসলাম (৪২) পাশের বাড়ীর পাইস্কা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া জনৈক ছাত্রীকে গত ১২ নভেম্বর সোমবার রাতে বাড়ীতে একা পেয়ে ঝাপটে ধরে বাড়ীর পশ্চিম পাশের জঙ্গলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

এ সময় ওই স্কুল ছাত্রীর ধস্তাধস্তি ও ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে শফিকুল তার পায়ের সেন্ডল ফেলে রেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ঘাটনাটি ব্যাপকভাবে জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দফায়-দফায় মিছিল-সমাবেশ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং অভিযুক্ত শফিকুল ও তার বড় ভাই সুরুজর বাড়ী-ঘর ভাংচুর ও আসবাবপত্র তছনছ করে।

এদিকে ধর্ষণ চেষ্টার এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে ১৪ নভেম্বর বুধবার শফিকুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে পুলিশ রাতেই শফিকুলকে গ্রেপ্তার করে পরদিন বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল আদালতে চালান করে দেয়।

অপরদিকে এ ঘটনায় শফিকুল ও তার বড় ভাই সুরুজের বাড়ী-ঘর ভাংচুরের অভিযোগে ৪০ জন গ্রামবাসী এবং আরও অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামী করে শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) শফিকুলের ভাতিজা মো. রুবেল মিয়া বাদী হয়ে ধনবাড়ী থানায় মামলা করেন। পুলিশ এ মামলায় গতকাল শনিবার ভোরে মজনু ফকির ও সেজনু মিয়া নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান দিয়েছে। এ ঘটানায় এলাকাবাসীর মধ্যে গ্রেপ্তার আতংক বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে ধনবাড়ী থানার ওসি মজিবর রহমান জানান, স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ভিকটিম ওই স্কুলছাত্রী নিজে বাদী হয়ে এবং ধর্ষণ চেষ্টাকারীর বাড়ী-ঘর ভাংচুরের ঘটনায় তার ভাজিতা মো. রুবেল মিয়া বাদী হয়ে ধনবাড়ী থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছে। ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত শফিকুল এবং বাড়ীঘর ভাংচুরের মামলায় মজনু ফকির ও সেজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপরে অপরাধী ব্যাতিত নিরীহ কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না বলেও তিনি জানান।