নন্দীগ্রামে আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াই শুরু


বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। বর্তমানে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।
জানাযায়,উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আমন মৌসুমের ব্রি ধান-৬২, বিনা-৭ ও কিছু সংখ্যক কৃষক বীজের জন্য সীমিত জমিতে মিনিকেট ধান চাষ করেছে। বর্তমানে কৃষকেরা এ ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আমন ধানের ফলন ভাল হয়েছে। আমন ধানের মধ্যে ব্রি ধান-৬২ বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ১৬ মন হারে ফলন হচ্ছে।
বাজারে ব্রি ধান-৬২ বিক্রয় হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা । বিনা ৭ বিঘা প্রতি ১৮ থেকে ২০ মন হারে ফলন হচ্ছে বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা এবং মিনিকেট ধান ১৪ থেকে ১৫ মন হারে ফলন হচ্ছে বলে কৃষকরা জানান । রিধইল গ্রামের আলী আকবর, সোলাইমান, রফিকুল, আমজাদ, মোকছেদ।
দোহার গ্রামের সাইফুল, হাবিবুর, রাজু, করিম, দাসগ্রাম গ্রামের আজাদ, মিলন, হাবিব, নাজমুল হক, রায়হান, উপজেলা সদরের মোজাম্মেল হক, জাহিদুল ইসলাম, আল-আমিন প্রমুখ আমন ধান চাষ করেছেন।এদের মধ্যে রিধইল গ্রামের কৃষক মোকছেদ আলী এই প্রতিনিধিকে জানান, আমি ১একর জমিতে ব্রি ধান-৬২ চাষ করেছিলাম, প্রতি বিঘায় ১৬ মন করে ধান পেয়েছি।
কৃষি অফিসের পরামর্শে ধান চাষ করেছিলাম ফলে খরচ কম হওয়ায় কিছুটা লাভের আশা করছি। দামগাড়া গ্রামের চাষী মুশিদুল জানান, আমার ৭ বিঘা জমিতে বিনা ৭ চাষ করেছি প্রতি বিঘায় ২০ মন হারে ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মুশিদুল হক জানিয়েছেন,এ বছর চলতি আমন মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় পৌরসভা সহ ৫টি ইউনিয়নে সর্বমোট ১৯ হাজার ৮০০হেক্টর জমি চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ।
এ বছর আবহাওয়া ভাল রোগ বালাই কম কৃষি অফিসের সময় মত পরামর্শ পেয়ে কৃষকরা জমিতে যে পরিশ্রম করেছে তাতে বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
পিএইচপি/মাসুদ রানা