প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ: আটক ১

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৮ | ৬৫৮

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে জোর করে ধর্ষণ করেছে প্রেমিক।

এ ঘটনায় পুলিশ প্রেমিক মনিরাম পাল(২৪)কে আটক করেছে। মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত মনোরাম পাল (২৪) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের সুশেন পালের ছেলে। ধর্ষণের শিকার হওয়া শিক্ষার্থী বালিয়াডাঙ্গী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

পুলিশ জানায়, মনিরাম পাল প্রেমিকাকে ফুসলিয়ে পার্শবর্তী গোয়ালঘার গ্রামে তার এক আত্বীয়র বাড়িতে নিয়ে যায় এবং তাকে জোরপূবর্ক ধর্ষন করে।এতে তার রক্তক্ষরণ শুরু হলে উপজেলা টিএন্ডটি অফিসের ভিতর নিয়ে যায়। পুলিশ সেখান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে নিয়ে যায়।পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবুল কাসেম জানায়, এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্কুলছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানান তিনি।

স্কুলছাত্রীর বাবা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে প্রাইভেট পড়তে আসে আমার মেয়ে। সকাল সাড়ে ৯টার সময় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে আমাকে একজন জানায়, আপনার মেয়েকে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। খবর শুনে আমি বাড়ী থেকে প্রায় ২ ঘন্টা খোজাখুজির পর বালিয়াডাঙ্গী থানার পাশ্ববর্তী টিএন্ডটি অফিসে এসে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করি।

বালিয়াডাঙ্গী টিএন্ডটি অফিসের দায়িত্বে থাকা বাচান আলী জানায়, সকালে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে কাউকে কিছু না বলে অফিসের ভিতরে চলে আসে। আমি তাদের বাইওে যেতে বললে তারা একটি সমস্যায় পড়েছে এমন কথা বলেন। এর মধ্যে পুলিশ এসে মেয়েটিকে ধরে নিয়ে যায় এবং ছেলেটি পালিয়ে যায়।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি এবিএম সাজেদুল ইসলাম জানায়, পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত প্রেমিককে আটক করেছে । দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে প্রেমিক।

বালিয়াডাঙ্গী-রাণীশংকৈলের এসপি সার্কেল হাসিবুল আলম জানায়, প্রেমিক-প্রেমিকা বালিয়াডাঙ্গীর বাইরে পাশ্ববর্তী একটি গ্রামে গিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে স্কুলছাত্রীর রক্তক্ষরণ শুরু হলে বিপাকে পড়ে টিএন্ডটি অফিসে আসে এবং সেখান থেকে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে।