লাল শাকের পুষ্টিগুণ
লাল শাক আমরা সকলেই চিনি। লাল শাক খেতে অনেকেই খুব ভালবাসে। লাল শাক শুধু শাক হিসেবেই নয় এটি মাছ দিয়েও রান্না করে খাওয়া যায়। যারা এখনোও খান নি তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আজই লালশাক খাওয়া শুরু করে দিন। লাল শাকে রয়েছে হাজারো স্বাস্থ্য উপকারীতা ও পুষ্টিগুণ। যা আপনার শরীরকে সুস্থ্য রাখার পাশাপাশি স্কিনকে সতেজ রাখবে। তাই সম্ভব হলে প্রতিদিনই লালশাক খান। এটি শিতকালীন একটি সবজি কিন্তু বর্তমানে এটি সারাবছরই পাওয়া যায়।
প্রতি ১০০ গ্রাম লাল শাকে আছে-
ক্যালসিয়াম - ৩৭৪মি:গ্রাম
প্রোটিন - ৫.৩৪মি:গ্রাম
স্নেহ -০.১৪ মি:গ্রাম
শর্করা-৪৯৬ মি:গ্রাম
এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি২, ভিটামিন সি, ক্যারোটিন ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ। দেহের সুস্থ্যতা বজায় লাল শাকের গুরুত্ব অনেক বেশি। চলুন জেনে নেওয়া যাক লাল শাকের বিষ্ময়কর পুষ্টিগুনাগুণ ও উপকারীতা সম্পর্কে-
১) শিশুদের অপুষ্টিহীনতা দূর করে।
২) গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই উপকারী।
৩) ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লাল শাক খুবই উপকারী।
৪) লাল শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আঁশ যা হজমে সহায়তা করে
৫) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৬) লাল শাকে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে।
৭) এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন যা দেহের রক্তশূন্যতা দূর করে।
৮) কিডনি পরিষ্কার রাখতে লাল শাকের কার্যকারীতা অনেক।
৯) লাল শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন "সি" যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।
১০) এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন "এ" যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
১১) দাঁতের সমস্যা ও মাড়ি ফোলা দূর করতে লাল শাক সাহায্য করে। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন "সি"।
১২) লাল শাক রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। যাদের রক্ত স্বল্পতা রয়েছে তারা নিয়মিত লাল শাক খেলে এই ঘাটতি পূরন হবে।
১৩) লাল শাকের এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
১৪) এটি মস্তিষ্ক ও হ্রদপিন্ডকে শক্তিশালী করে।
১৫) শরীরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমে যে সমস্যা দেখা দেয় লাল শাক তা প্রতিরোধ করে।
১৬) লাল শাকের বিটা ক্যারোটিন হ্নদরোগের ঝুঁকি কমায়।
১৭) লাল শাক চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।