‘দুষ্টকে দমন শিষ্টকে পালনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দুষ্টকে দমন আর শিষ্টকে পালনের জন্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘গুজব-সন্ত্রাস, অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার রুখতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করেছে সরকার। যারা ক্রাইম করবে না তাদের কোনও ভয় নেই।’
সোমবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের শিল্পবিষয়ক উপ-কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কেন করা হয়েছে- তার ব্যাখ্যায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মনে আছে গুজব-সন্ত্রাস; লাইভ পোস্টিংয়ে (ফেসবুক লাইভ) এক মহিলা কালো কাপড় ঢাকা, সে আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসে আছে, তাকে রেপ করা হচ্ছে! আমাকে বাঁচাও, আমাকে রক্ষা করো! পরে তো ধরা পড়েছে আরেক নায়িকা এসব নাটক সাজিয়েছে।’
‘গুজব সন্ত্রাসকে’ আন্দোলনের চেয়েও ভয়াবহ আখ্যায়িত করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই কাজটি বিএনপি করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালানোর পর এই পোস্টগুলো তারা করে যাচ্ছে। দেশে একটি সরকার আছে। তারপরও কি সবকিছু এভাবেই চলতে থাকবে? যারা ক্রাইম করছে না, তাদের কোনও ভয় নেই, প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে এটা বলেছেন। তাই বলে কি দুষ্টকে দমন করবো না? ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- দুষ্টকে দমন আর শিষ্টকে পালন করার জন্য।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ডিজিটাল ক্রাইমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি কি থাকবে না? অরাজকতা আর একদলীয় শাসন- এটাও অপপ্রচার। শালীনতা বলতে এই দলের কিছু নেই। একজন তো নয়া পল্টনের অফিসে বসে আমাদের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সব নেতাদের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলে। তারপরও তো আমরা তাকে গ্রেফতার করিনি। মিথ্যাচার এবং অপপ্রচারই বিএনপির একমাত্র ক্যাপিটাল।’
তিনি বলেন, ‘সরকার কিছুই করবে না? সরকার কি ঘরে বসে ডুগডুগি বাজাবে? এসবের কোনও জবাব থাকবে না? জনগণের জানমালের নিরাপত্তা কি আমরা নিশ্চিত করবো না?
আওয়ামী লীগের শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, উপ-কমিটির সদস্য সচিব ও আওয়ামী লীগের শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ।