মাদকের বিরুদ্ধে শপথ নিলো কক্সবাজার জেলাকারাগারে দুই শতাধিক বন্দি 

কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:০৬ পিএম, শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ৫৬৪

কক্সবাজার জেলা কারাগারে মাদকবিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। “মাদকমুক্ত তরুণ প্রাণে, গড়বো স্বদেশ যুক্তির গানে” এ স্লোগানকে ধারণ করে মাদক সেবন, পাচার ও ব্যবসার পথ ত্যাগ করে সুস্থ, সুন্দর জীবন গড়ে তোলা শপথ নিলো দুই শতাধিক কারাবন্দি।

কক্সবাজার জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উদ্যোগে ১ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা কারাগার অভ্যন্তরে আয়োজিত এক মাদক বিরোধী সমাবেশে এই শপথ গ্রহণ করেন বন্দিরা। তারা দীপ্ত শপথ গ্রহণ করে মাদক পরিহারের অঙ্গিকার করেন এবং তারা জেলের মধ্যেই সংশোধন হয়ে মাদককে কোন দিন স্পর্শ করবে না এবং মাদককে ঘৃণা করবে। ফিরে আসবে স্বাভাবিক জীবনে।

অনুষ্ঠানে শপথবাক্য পাঠ করান কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার জেলা কারাগার সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ, ডেপুটি জেলার মনির আহমেদ, কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকতা’রা।

এসময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল বলেন, মাদক এখন গোপন ঘাতক হয়ে যুব সমাজ, দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করছে। যা ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত। এখনই মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে না পারলে অবক্ষয়ের চোরাবালিতে ঢুবে যাবে গোটা জাতি, ভেঙে পড়বে সমাজব্যবস্থা। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করার পাশাপশি সব ধরনের মাদককে ‘না’ বলার শপথ নিয়েছি।

সভায় কক্সবাজার কারা সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ বলেন, দিন দিন মাদকাসক্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলছে। এভাবে যদি বাড়তে থাকে তাহলে এক সময় প্রতিটি পরিবারেই মাদকাসক্ত ব্যক্তির উপস্থিতি দেখা যাবে। তখন প্রতিটি পরিবার এমনকি পুরো সমাজকে মাদকাসক্তের সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে। মাদক নির্মূলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি নিজের প্রতি ও সন্তানদের প্রতি আরও মনোযোগী হতে হবে।

অভিন্ন মন্তব্য করে কয়েকজন হাজতী বলেন, মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশি বেশি করে এই ধরনের অনুষ্ঠান প্রয়োজন। কারণ শপথ গ্রহণ করে ফের গোপনে বা প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণে কিছুটা হলেও তাদের নিরুৎসাহিত করবে। এতে করে মাদকের কালো থাবা থেকে সবাইকে ফিরিয়ে আনা অনেকটাই সহজ হবে।

সূত্র // নিরাপদ নিউজ