জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছাত্রলীগ নেতা রানা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:৩৬ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট ২০১৮ | ৫৩০

সুন্দর এক আগামী যাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে, যার জীবন হবার কথা অনাবীল আনন্দে ভরা, সেই তারুণ্যদীপ্ত রানা এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অথচ সেদিনও তার দীপ্ত পদচারনায় মুখরিত ছিল ছাত্রলীগের রাজনীতি। জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে যেত ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মসুচী।

সেই অকোতভয় তারণ্যদীপ্ত তাওহিদুজ্জামান রানা এখন মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে শয্যাশায়ী। অর্থাভাবে চিকিৎসা থেমে যাওয়ায় দিশেহারা তার পরিবার। ২০ লাখ টাকা যোগার করতে না পারলে তার জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়া অবসম্ভাবি হয়ে দেখা দিয়েছে।

টাঙ্গাইল শাহজাহাল (রহ.) মেডিকেল ইনস্টিটিউশন থেকে মেডিকেল অ্যাসিস্টান্ট পাস করা উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেব দায়িত্ব পালন করছেন রানা। তিনি উপজেলার মহেড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে রানা সবার ছোট।

রানা বর্তমানে গলায় ও ঘাড়ে ক্যান্সারে (ননহসকিন লিস্ফোমা) আক্রান্ত হয়ে ভারতের হায়দ্রাবাদের ‘যশোদা হাসপাতালে’ চিকিৎসাধীন।

জানা গেছে, ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী তাওহিদ্জ্জুামান রানা গত তিন মাস আগে গলায় ব্যাথা হলে প্রথমে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পরীক্ষা করা হয়। সেখানে তারা সঠিক রোগ নির্ণয় করতে ব্যর্থ হলে ঢাকায় পরীক্ষা করালে তার গলায় ও ঘাড়ে ক্যান্সার হয়েছে বলে ধরা পড়ে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করেছেন।

সেখানে তার বোনমেরু পরীক্ষা করা হয়েছে। তাকে এখন ক্যামু থ্যারাপি দিতে হবে। প্রতিটি ক্যামুতে খরচ হবে দুই লাখ টাকারও বেশি। চিকিৎসায় খরচ হবে ২০ লাখ টাকা। এই বিপুল অংকের টাকার যোগান দেয়া রানার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয় বলে তার পরিবার জানিয়েছেন।

রানার মা রেখা বেগম ও বাবা আবুল হোসেন তার একমাত্র ছেলে রানার চিকিৎসার সহায়তায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রতিটি নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, সহযোগী সংগঠনের নেতার্মীদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মীর আসিফ অনিক, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বলেন তরুণ উদীয়মান ছাত্রলীগ নেতা রানার চিকিৎসার খরচ যোগাতে ছাত্রলীগ ইতিমধ্যে তৎপরতা মুরু করেছে। তারা সমাজের সচেতন বিত্তবান মানুষের সহযোগীতা চেয়েছেন।