গ্রেনেড হামলার মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হলে ৪৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫০ এএম, মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট ২০১৮ | ৪১৮

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর প্রত্যাশা, হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৪৯ আসামির অপরাধ প্রমাণে সক্ষম হলে সব আসামির মৃত্যুদণ্ড হবে। তদন্তকে ভিন্নখাতে নিতে জজ মিয়া নাটক এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীদের গড়িমসির কারণে এই মামলা নিষ্পত্তি করতে ১৪ বছর সময় লেগে যাচ্ছে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্টের বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নিহত ও দুই শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনায় মোট দুটি মামলা হয়। তদন্তকে ভিন্নখাতে নিতে জজ মিয়া নাটক, আসামিপক্ষের গড়িমসি এবং আইনজীবীদেরর উচ্চ আদালতে দৌঁড়ঝাপের কারণে কেটে গেছে ১৪ বছর।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী জানান, মামলার বিচার এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এই মামলার বিচারকাজ শেষ হবে।

চিফ প্রসিকিউর সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, ‘এই মামলার প্রকৃত আসামিকে আড়ালে রাখার জন্য প্রশাসনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ক্ষমতায় অধিষ্ট যারা ছিলেন, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। বাবরের পক্ষে এখন যুক্তিতর্ক চলমান অবস্থায় আছে। এরপরে রায় এবং আদেশের জন্য তারিখ ঠিক হবে।’

মামলার যুক্তিতর্কে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে দেশি-বিদেশি ৫টি জঙ্গি সংগঠন জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষে। যার পুরো পরিকল্পনায় ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টুসহ পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা। সৈয়দ রেজাউর রহমানের দাবি, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।

যদিও আসামিপক্ষের আইনজীবীর দাবি, রাজনৈতিক কারণে তারেক ও বাবরকে এ মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ন্যায় বিচার হলে সব আসামি খালাস পাবে।

২০০৪ সালের এইদিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে আরজেস গ্রেনেড হামলায় নিহত হন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভী রহমান সহ ২২ জন। আহত হন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'সহ দুই শতাধিক মানুষ। 

সূত্র- সময় টিভি