নিষেধাজ্ঞা শেষ হলো আশরাফুলের


আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে মোহাম্মদ আশরাফুলের। বয়স ৩৪ হলেও এখনো স্বপ্ন দেখেন আবারো জাতীয় দলে খেলার। দলে সুযোগ পাওয়াটা আগের চেয়ে অনেক কঠিন হলেও ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণে যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে তিনি প্রস্তুত। বর্তমানে ইংল্যান্ডে অপেশাদার দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলার পাশাপাশি অনুশীলন করছেন আশরাফুল।
ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার নিষেধাজ্ঞা উঠেছে আরো দু’বছর আগে। কিন্তু অপেক্ষাটা যেন শেষ হচ্ছিল না। অবশেষে মিলল মুক্তি। শুধু ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক লিগ না, মোহাম্মদ আশরাফুল এখন খেলতে পারবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও।
জাতীয় দলের হয়ে আশরাফুল সবশেষ খেলেছেন প্রায় সাড়ে ৫ বছর আগে। এ সময়ে সমৃদ্ধ হয়েছে টাইগার ক্রিকেটের কীর্তিগাথা। দলে ফেরাটা চ্যালেঞ্জিং। মনে সে ভাবনা আছে। তবে, আপাতত শেকলমুক্ত হয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মাদ আশরাফুল বলেন, খুবই ভালো লাগছে, আসলে আমি এই দিনের জন্য গত পাঁচ বছর ধরে অপেক্ষা করেছিলাম। ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট কবে আসবে। তাহলে আমি আবার জাতীয় দলে খেলতে পারব!
জাতীয় দলে ফেরার যুদ্ধ শুরু করেছেন বেশ আগেই। বর্তমানে ইংল্যান্ডে ম্যাচ খেলার পাশাপাশি করছেন অনুশীলন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সবশেষ মৌসুমে করেছেন ৫ সেঞ্চুরি। ব্যাট হাতে ছন্দে ফেরার সঙ্গে ফিটনেস নিয়েও কাজ করছেন। আশরাফুলের সংকল্প দ্রুততম সময়ে আবারো জাতীয় দলে ফেরা।
আশরাফুল আরো বলেন, দুই মাস ধরে একটা পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। এর আগে একমাস ঢাকায় প্র্যাকটিস করেছি, এখনও করছি। সেই সাথে ম্যাচও খেলছি।
স্থানীয় মাইনর লিগ খেলার পাশাপাশি, আশরাফুল ব্যাটিং টেকনিক ও খুঁটিনাটি বিষয়ে দীক্ষা নিচ্ছেন ইংল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি কোচ শহিদুল আলম রতনের কাছ থেকে। আশরাফুল কতটা প্রতিভাবান তা জানা আছে এই কোচের। তাই শিষ্যকে নিয়ে দেখছেন বড় স্বপ্ন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ শহিদুল আলম রতন বলেন, ‘আশরাফুল অনেক ক্ষুধার্ত। সে নিজেকে তৈরি করেছে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের জন্য। কেননা আগামী বছর এই সময়ে এখানে বসবে ক্রিকেটের বিশ্বকাপ। যদিও এ চিন্তা থেকে আশরাফুল এখানে আসে, তাহলে সে সঠিক লাইনে রয়েছে।
ভুল করেছিলেন আশরাফুল, যার জন্য শাস্তিও পেয়েছেন। তবে তরুণ ক্রিকেটাররা যেন ভুল পথে পা না বাড়ায়, সে জন্য সতর্ক বার্তা দিলেন টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান।
অ্যাশ আরো বলেন, এখন যেহেতু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লীগগুলো হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা আসতে পারে। সেই জন্য সকলকে সর্তক থাকতে হবে এবং সৎ থাকতে হবে।