দোকান আছে, বিক্রেতা নেই

খালিদ হাসান,(বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:০০ এএম, শনিবার, ১১ আগস্ট ২০১৮ | ৮৯৮
দোকান আছে। অাছে অনেক রকমের পণ্যও। কিন্তু বিক্রেতা নেই। এমনই একটি দোকানের নাম সততা স্টোর। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গাংনগর দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসার ভেতরে এই দোকানে বেচাকেনা হয় বিক্রেতা ছাড়াই। 
 
সততার মহৎ উদাহরণ সততা স্টোর। যেখানে মেলে খাতা, কলমসহ নানা বাহারী পণ্য। কিন্তু, মজার বিষয় দোকানে নেই কোন বিক্রেতা। 
 
ক্রেতারা নিজের পছন্দের জিনিসটি ক্রয় করে, নির্দিষ্ট বাক্সে মূল্য পরিশোধ করে চলে যান। সততা স্টোর নামে এমনই এক দোকান গাংনগর দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে উদ্বোধন করেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির। মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আতিক রহমানের উদ্যোগে চালু হওয়া সততা ষ্টোর চলছে বেশ।
 
এ বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের জিনিসটি নিয়ে টাকা রেখে যান নির্দিষ্ট বক্সে। বিক্রেতাবিহীন এ দোকানে প্রতিদিন বেচাকেনাও হয় বেশ। শিক্ষার্থীরা জানালেন, টাকা না দিয়ে তারা কখনো কোনো জিনিস নিয়ে যান না। সততা ষ্টোর ছাড়াও সভাপতির ব্যক্তিগত উদ্যোগে চালু করা হয়েছে দুস্হ কল্যান গ্যালারী। যে গ্যালারী সামর্থ্যবান শিক্ষার্থীরা স্ব-ইচ্ছায় জামা-কাপড় রাখবে। গরীব যেসব শিক্ষার্থীরা আছে, তারা যার যেটা পছন্দ ইচ্ছামতো নিয়ে যেতে পারবে। এতে কোন গরীব ছাত্র-ছাত্রী লজ্জায় পড়বে না। 
 
মাদ্রাসা সুপার আব্দুল ওয়াহাব বলেন, শিক্ষার্থীদের সততায় উদ্বুদ্ধ করতেই ব্যতিক্রমী এই দোকান সভাপতি সাহেব চালু করেছেন। তার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সবাই। 
 
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর কবির বলেন, সততা স্টোরের মতো এরকম ছোটখাট উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সত্যবাদী হতে সহায়তা করবে। এছাড়াও দুস্হ কল্যান গ্যালারী একটি চমকপ্রদ উদ্যোগ। তিনি এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস প্রদান করেন।