নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১ রানের জয় পেল নেপাল


নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই জয়ের দেখা পেলো নেপাল। শ্বাসরুদ্ধকর শেষ বলের রোমাঞ্চে, দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে স্বাগতিক নেদারল্যান্ডসকে তারা হারিয়েছে ১ রানে। টস জিতে আগে ব্যাট করে ২১৬ রান করে নেপাল। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ২১৫ রানে অল-আউট হয় স্বাগতিক'রা। ফলে ১-১ এর অমীমাংসিত ড্র নিয়েই শেষ হলো সিরিজ। ম্যাচ সেরা হয়েছেন নেপালি ব্যাটসম্যান সোমপাল কামি।
এ যেন রূপকথাকেও সত্যি করার মতো একটা জয়। যে জয় মাহত্বটা শুধু একটা ম্যাচই নয় বরং ইতিহাস সৃষ্টি করার। গেল মার্চে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া দলটা নিজেদের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচেই পেলো প্রথম জয়ের স্বাদ।
অথচ পুরো ম্যাচে ছড়ি ঘুরিয়েছে স্বাগতিক নেদারল্যান্ডসই। ২১৬ রানের মামুলি টার্গেটটা আরো মামুলি হয় উইসলি বারেসির ৭৬ আর ড্যানিয়েল টার ব্রেকে ৩৯ রানে ভর করে।
তবে এরপরই সন্দ্বীপ লামিচান ম্যাজিক। ১১৪ রানে ২ উইকেট হারানো নেদারল্যান্ডস পরের ৭ উইকেট হারায় ৭১ রানের ব্যবধানে। শেষ উইকেটে ৩০ রান যোগ করে অসাধ্য'কে প্রায় সাধনই করে ফেলেছিলেন ফ্রেড ক্লাসেন আর পল ভ্যান মিকারেন।
তবে শেষ রক্ষাটা হয়নি। শেষ ওভারে ৬ রানের প্রয়োজন হলেও মাত্র ৪ রান তুললে সক্ষম হয় স্বাগতিক'রা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সোমপাল কামি'র ৬১ আর অধিনায়ক পরেশ খাড়কার ৫১ রানে ভর করে ২১৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছিলো নেপাল। আর দিনশেষে সেই রানটাকে যথেষ্ট বলে প্রমাণ করেন দলের বোলার'রা।
নেপাল জাতীয় ক্রিকেট দল অধিনায়ক পরেশ খাড়কা বলেন,'এটা অসাধারণ একটা অনুভূতি। বলতে পারেন নেপালের ক্রিকেটের নতুন দিনের শুরু। যেখান থেকে শুধু সামনের দিকেই তাকানো যায়। আমরা বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণ করতে চাই আর এর জন্য আরো বেশি ম্যাচ খেলা প্রয়োজন।'
স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচান বলেন, 'এমন একটা মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। এ জয়টা নেপালি ক্রিকেটের সমর্থকদের। তাদের জন্য কিছু করতে পেরে ভালো লাগছে।'
আগামী ২৯ আগস্ট এশিয়া কাপের বাছাইয়ের ম্যাচে ওমানের মুখোমুখি হবে নেপাল। বাছাইয়ের বাধা পেরিয়ে এবার এশিয়ার সেরাদের মুখোমুখি হওয়ার প্রত্যয় ক্রিকেটারদের চোখে মুখে।