২০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে একটি পাকা ব্রীজ

ভোগান্তি আর ঝুকি, দক্ষিণাঞ্চলবাসীর নিত্য সঙ্গি। তবু যেতে হবে গন্তব্যে, তাই নিরন্তর ছুটে চলা। ভোগান্তির সেই নাম মির্জাপুর পৌরসভার কুমুদিনী হাসপাতাল সংলগ্ন লৌহজং নদীর খেয়া ঘাট। একটি সেতুর অভাবে অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে প্রতিদিন।

মির্জাপুর পৌর শহরের কুমুদিনী হাসপাতাল সংলগ্ন লৌহজং নদী। এই নদীই মির্জাপুর পৌরসভাকে দুইভাগে ভাগ করেছে। এই ঘাট পার হয়েই প্রতিদিন মির্জাপুর উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের চলাফেরা। আর এই পারাপারের মাধ্যম বর্ষাকালে নৌকা আর শুকনো মৌসুমে বাশের শাকো।

মির্জাপুর পৌরসভার মির্জাপুর, সরিষাদাইড়ের আংশিক এবং উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের সরিষাদাইড়, ভাওড়া,কেশবপুর, ফতেপুর, পাইখার, চামুটিয়া, জালশুকা, চানপুর, আড়াইপাড়া, মারিশন, কামারপাড়া, হাড়িয়া, ছোট গবড়া, বড় গবড়া, আমরাইল তেলিপাড়া সহ অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে উপজেলা সদরে এবং কুমুদিনী হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সেবা নিতে আসে। এই খেয়া ঘাট পার হয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী উপজেলা সদরের এসকে পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এবং মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়া করে। তাছাড়া বিভিন্ন গ্রাম থেকৈ কুমুদিনী হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসে। গুরুতর অসুস্থ্য রোগি খেয়া পারাপার জনিত জটিলতায় পড়ে আরো খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে খোজ নিয়ে জানা গেছে।

নদী ভাঙন রোধে ঘাটের উত্তর পাশে নদীর পাড়ে বøক বসানো হয়েছ্।ে এখান দিয়ে উঠানামা করতেও প্রতিদিন ঘটে থাকে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।খেয়া পারাপারে একদিকে সময় লাগছে বেশি অপরদিকে লাগছে বাড়তি টাকা।

সরিষাদাইড় গ্রামের এডভোকেট সাহেদ আনোয়ার বলেন কুমুদিনী হাসপাতাল সংলগ্ন লৌহজং নদীর ঘাটে মানুষের দুর্ভোগ দীর্র্ঘদিনের। ওখানে একটি পাকা ব্রীজ নির্মাণ খুবই জরুরী।

মির্জাপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজম খান বলেন জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ওই স্থানে পাকা ব্রীজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া দরকার।

ভাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন বলেন দক্ষ্ণি অঞ্চলের অবহেলিত জনপথ মির্জাপুর কামাড়পাড়া সড়ক। মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতাল সংলগ্ন লৌহজং নদীর ঘাটে একটি ব্রীজ নির্মীত হলে দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে।