‘জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৮ পিএম, শনিবার, ৭ জুলাই ২০১৮ | ৪২৮

নানা ষড়যন্ত্র আর অপপ্রচারের কারণে আসছে নির্বাচন অনেক কঠিন হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করে উন্নয়নের সঠিক বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে তৃণমূলকে সে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।

শনিবার (৭ জুলাই) দুপুরে গণভবনে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিশেষ বর্ধিত সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী, আগামী নির্বাচনে দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে কাজ করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গণভবনে তৃণমূল নেতাদের নিয়ে এ বর্ধিত সভা। এতে যোগ দেন ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা এবং রংপুর বিভাগের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ; সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলররা।

শনিবার বেলা ১২টায় এ সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পরপর দু' বার সরকার গঠন করতে পেরেছে বলেও উন্নয়ন তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছেছে। গ্রামাঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত প্রতিটি মানুষের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করাই তার সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি জামায়াত তো স্বাধীনতাতেই বিশ্বাস করে না। মুক্তিযুদ্ধের সময় তো তারা বিরোধিতাই করেছে। কাজেই তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবে না, করলে একমাত্র আওয়ামী লীগই করবে। কাজেই এই নির্বাচনে যদি আমরা জয়ী না হই, তাহলে আবার বাংলাদেশকে তারা আদর্শচ্যুত করবে। বাংলাদেশে আজ দারিদ্র্যের হার কমেছে, তারা আবার দারিদ্র্যের হার বাড়াবে।’  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি। আসছে নির্বাচনে তৃণমূলকে জনগণের দ্বারে দ্বারে সরকারের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিন। আওয়ামী লীগের বিজয় অব্যাহত রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত এলাকায় এখনও দ্বন্দ্ব- এই দ্বন্দ্ব ভুলে যেতে হবে। সামনে নির্বাচন, এই নির্বাচন অনেক কঠিন হবে, এটা মনে রাখতে হবে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে একটা ধারণা হয়ে যায়- সব সিটেই তো জিতবো, এই একটাতে না জিতলে আর কী হবে? ২০০৮-এ কিন্তু এই চিন্তাধারাটা ছিল। এটার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। মনে রাখতে হবে, একটা সিট হারানো মানে সরকার গঠন আমরা করতে পারবো না। এটা মনে রেখে সকলকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সবাইকে নির্বাচনের কাজ করতে হবে।’  

পরে বর্ধিত সভায় যোগ দেয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন শেখ হাসিনা।