মে ও জুন মাসে হাওরে বজ্রপাতে প্রাণ গেছে ২৫ জনের

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৪ এএম, সোমবার, ২ জুলাই ২০১৮ | ৪৭৮
চলতি বছরের মে মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত হাওরে ধান কাটা ও মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে ২৫ জনের মৃত্যু হয়। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে পরিবারগুলোর খাদ্য নিরাপত্তা ও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে।
সরকার বজ্রপাতে নিহতদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা দিচ্ছে বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন। আর জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, নিহতদের পারিবারগুলোকে সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনির আওতায় আনা হচ্ছে।
 
চলতি বছরের মে মাসে হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের বর্গাচাষী আব্দুর রশিদ। তার আকস্মিক মৃত্যুতে সংসার নিয়ে দিশেহারা স্ত্রী হুসনা বেগম। হুসনা বেগমের ৬ সন্তানের মধ্যে বড়ো দুই ছেলে অভাবের তাড়নায় পড়ালেখা বাদ দিয়ে হাওরে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে সংসারের হাল ধরে।

আর বাকি ৪ সন্তানের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। একই অবস্থা ভাটি সাফেলা গ্রামের শোভা আক্তারেরও। বজ্রপাতে নিহতদের পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, পরিবারের উপার্জনশীল ব্যক্তির মৃতুতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো অসহায় হয়ে পড়েছে।

 
জনপ্রতিনিধিরা  জানান, বজ্রপাতে নিহতদের পারিবার লোকে সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীর আওতায় নিয়ে আসা হবে।
 
রনজিত চৌধুরী রাজন (চেয়ারম্যান ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ, বিশ্বম্ভরপুর) বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের আমরা সরকারের নিরাপত্তা বেষ্টনীর আয়ত্বে নিয়ে আসব।

উপজেলা প্রশাসন বলছে, বজ্রপাতে নিহতদের সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

প্রদীপ সিংহ (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সুনামগঞ্জ সদর) বলেন, নিহতদের যে তালিকা তা আমাদের কাছে আছে। আমরা বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের সাহায্য করে যাচ্ছি।

চলতি বছর বজ্রপাতে নিহতদের মধ্যে প্রতিজনকে ২০ হাজার টাকা করে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ টাকা দিয়েছে সরকার।