৮ জনকে আসামি করে হলি আর্টিজান মামলার চার্জশিট


ঘটনার দুই বছরের মাথায় ৮ জনকে আসামি করে দেয়া হচ্ছে গুলশান হলি আর্টিজান মামলার চার্জশিট। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্তে ২১ জনের সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলেও ঘটনার সময় ৫ জন এবং পরে বিভিন্ন অভিযানে ৮ জন মারা যাওয়ায় চার্জশিটে তাদের নাম থাকলেও অভিযোগ থেকে বাদ পড়ছে তাদের নাম। চার্জশিটভূক্ত ৮ আসামির মধ্যে গ্রেফতার আছে ছয়জন। পলাতক রয়েছে ২ জন। এদিকে র্যাব মহাপরিচালক বলছেন, গেলো দুই বছরে জঙ্গিরা কোণঠাসা হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না তারা।
ঘটনার দুই বছরের মাথায় মামলার চার্জশিট জমা দিতে যাচ্ছে পুলিশ। কাউন্টার টেররিজম ইউনিট বলছে, তদন্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় ৩৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন অভিযানে মারা গেছে। অভিযোগপত্র থেকে তাদের অব্যাহতি দিলেও কার কি ভূমিকা ছিলো- তা লেখা থাকবে চার্জশিটে।
কাউন্টার টেররিজমের একটি সূত্র বলছে, এদের মধ্যে রিগ্যান ও রাজিব গান্ধী হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ, বড় মিজান ও সোহেল মাহফুজের বিরুদ্ধে অস্ত্র সরবরাহ ও র্যাশের বিরুদ্ধে হামলা বাস্তবায়নের অভিযোগ আনা হচ্ছে।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, আটজনের মধ্যে বিরুদ্ধে আমরা পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছি। এদের মধ্যে দুই জন পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধে আমরা চার্জশিট প্রদান করতে যাচ্ছি।
দেশকে অস্থিতিশীল করে জঙ্গিবাদ কায়েম করাই ছিলো হামলার উদ্দেশ্য- বলছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, এটা কোন বড় গ্রুপ নয়। ছোট একটি গ্রুপ। আমরা চেষ্টা করছি সব গ্রুপগুলোকে আমাদের নজরে আনার জন্যে।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যেনো আমাদের সম্পর্ক খারাপ হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিনিয়োগ আছে। তারা চলে যাবে। সরকারের পতন ঘটবে। হামলার মোটিভ এটাই ছিলো।
তারা বলছেন, প্রচার পাওয়া এবং নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়ার উদ্দেশ্যেই হামলার জন্য বেছে নেয়া হয় গুলশানের মতো অভিজাত এলাকা।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাবে মিডিয়া কাভারেজ যেখানে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যাবে। সেই জায়গাটিকেই তারা বেছে নিবে।
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদের সন্তুষ্টির কোন অবকাশ নেই। এদের নির্মূলে আমাদের আরো কাজ করতে হবে।
হলি আর্টিজান হামলায় নিহতদের মধ্যে ১৭জন বিদেশি নাগরিক ও ২ পুলিশ কর্মকর্তাও ছিলেন। ১লা জুলাই রাতভর অবরুদ্ধ থাকার পর ১৮ ঘণ্টার জিম্মিদশার অবসান ঘটে পরেরদিন সকালে।