কালিহাতীতে বাঁধ ভাঙ্গনে ফসলী জমিগুলো হুমকির মুখে
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার রামেশ্বর কামার্থী গ্রামে ৯০ দশকের ৪৭ কিলোমিটার চারান-লক্ষীবাসা বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের বাঁধ ভাঙ্গনে একশ একর ফসলী জমি হুমকির মুখে রয়েছে।
যেকোন মুহুর্তে বাঁধটি ভেঙ্গে যেতে পারে বলে আশংকায় রয়েছে এলাকাবাসী। বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে প্রায় একশ একর ফসলী জমি নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
ওই গ্রামের কৃষক হায়দার আলী জানান, আমার ৬০ শতাংশ ফসলী জমি রয়েছে। ঐ জমির ফসলে আমার সংসার চলে। বাঁধ ভেঙ্গে গেলে ফসল নষ্ট হলে আমার সংসার চলবে না। ইতিপূর্বে এলাকাবাসীর সহায়তায় তিনবার বাঁধ ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঐ বাঁধ সংলগ্ন ঝিনাই নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় বাঁধটি ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়ে।
বাঁধের তিন ভাগের দুই ভাগ ইতিমধ্যেই ভেঙ্গে গিয়েছে। বর্ষার মৌসুমে বাঁধটি পুরোটাই ভেঙ্গে পড়ার আশংকা রয়েছে। তাই বর্ষার মৌসুমের আগেই বাঁধটি মেরামত করা হলে প্রায় একশ একর ফসলী জমি ও তিন থেকে চারশত কৃষকের পরিবার রক্ষা পাবে। কৃষক আঃ জলিলের কৃষিণী রায়নামতি বলেন, এই চরায় আমার জমি রয়েছে। এই জমির ফসলেই সংসার ও সন্তানদের লেখা-পড়ার খরচ চলে। বাঁধটি আপনেরা বাইন্দা দেন। স্থানীয় কৃষক সুহেল জানান, গতবারও বাঁধটি ভেঙ্গেছিল।
পরে আমরা এলাকাবাসী মাটির বস্তা ও টিন দিয়ে বান দিয়েছিলাম। আমরা এই ভাঙ্গন থেকে মুক্তি চাই। কৃষক হাসমত আলী জানান, এই ভাঙ্গনের জন্য ফসল রক্ষা করতেই দিন-রাত আতংকে থাকতে হয়।
স্থানীয়রা জানান, এই একশ একর ফসলী জমি রক্ষা করতে বর্ষা মৌসুমের আগেই বাঁধটি মেরামত করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাজাহান সিরাজ জানান, চারান-লক্ষীবাসা বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের বাঁধটি ভাঙ্গনের কথা শুনেছি। লোক পাঠানো হবে। ভাঙ্গনটি দেখে আগামী বাজেটে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
