বগুড়ায় পুলিশের সামনেই গণ পিটুনিতে যুবক নিহত


বগুড়ায় রুবেল হোসেন (২৮) নামের এক যুবককে গন পিটুনি দিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।পুলিশের সামনেই এঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার।সোমবার (০৭মে) শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবেল ওই এলাকার সঞ্জু মিয়ার ছেলে। শহরের ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আমজাদ হোসেন ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যার কথা নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রুবেল হোসেন এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে। এছাড়া সে একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা ধার নিয়ে পরিশোধ করেনি। এ নিয়ে এলাকাবাসী তার উপর ক্ষুদ্ধ ছিল। বেশ কিছুদিন আত্মগোপন করে থাকার পর সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে নিজ এলাকায় গেলে স্থানীয় জনতা টের পয়ে তাকে আটক করে। এরপর বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী তাকে বেধড়ক পেটায়। এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যায়।
নিহত রুবেলের মা ঝর্ণা বেগম জানান,তার ছেলে রুবেল ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সোর্স হিসেবে কাজ করতো। পুলিশকে মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য দেয়ার কারণে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা তার ওপর ক্ষুদ্ধ ছিল। ফলে বেশ কিছুদিন যাবৎ রুবেল বাড়িতে থাকতো না। সোমবার দুপুরে রুবেল জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার জন্য বাড়িতে আসে।
সন্ত্রাসীরা এ খবর জানতে পেরে বাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙচুর করে এবং রুবেলকে ধরে নিয়ে গিয়ে আবুলের দোকানের সামনে মারপিট শুরু করে। খবর পেয়ে ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শহিদুল ইসলাম পুলিশ নিয়ে সেখানে আসলেও রুবেলকে উদ্ধার করেনি। তাদের সামনেই রুবেলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, নিহত রুবেল সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী। স্থানীয় জনতা তাকে পেয়ে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছার আগেই রুবেল মারা যায়। তিনি পুলিশের সামনে রুবেলকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন রুবেল কখনও পুলিশের সোর্স ছিল না।