ধনবাড়ীতে এক মণ ধান মজুরীতেও মিলছে না একজন শ্রমিক!

হাফিজুর রহমান.মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:৩৫ এএম, বুধবার, ২ মে ২০১৮ | ৪৩৮

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে মাঠে এখন পাঁকা সোনালী ধান। শ্রমিক সংকটে সময় মতো ধান কাটাতে পারছে না অনেক কৃষক। এক মণ ধানের দাম মজুরী দিয়েও মিলছে না একজন শ্রমিক ।

শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা। সাথে থাকছে আবার দুবেলা খাবার। এতে গৃহস্থের শুধু ধান কাটাতেই খরচ পড়ছে মণ প্রতি ৮০০ টাকা।

অন্যান্য খরচ (জমি চাষ, সেচ, চারা, সার, কীটনাশক, রোপা শ্রমিক) তো আছেই। চলতি বোরো মৌসুমে ঝড়, বৃষ্টি, পোকা-মাকড়, রোগ-বালাই নিয়ে কৃষকরা মহা বিপাকে ছিল। ধনবাড়ীর বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ১০ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এতে হেক্টর প্রতি কৃষকরা সাত থেকে আট মেট্রিক টন ধান পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

কৃষকরা জানায়, কমবেশি সব এলাকায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাই শ্রমিকদের চাহিদা বেশি। এ বছর শ্রমিকের মূল্য বেশি থাকায় স্কুল-কলেজের অনেক শিক্ষার্থীরা ধান কাটার কাজে লেগে পড়েছে।

বীরতারা ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের কৃষক হাবিবুর বরহমান হাবিব,নূরুল ইসলাম বাবুল,মোজ্জামেল হক, এছাহাক আলী,রইচ উদ্দিন, বাদল এরা সকলেই জানায়, এবার ধানের শীষ মারা যাচ্ছে, তার মধ্যে ঝড়ে শীল পড়ে ধান নষ্ট হয়েগেছে। তার মধ্যে ধানের দাম কম, এক মন ধান বিক্রি করে একজন শ্রমিকের একদিনের মজুরী দেওয়া যায় না।

পাইস্কা ইউনিয়নের কয়ড়া গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিন,জয়নাল এরা জানান, তিনি এবার ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। বাজারে ধানের চাহিদা ও বাজার মূল্য অনেক কম থাকায় তাকে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, এবার বোরো ধানের দাম কম থাকায় তারা কৃষকদের ধান ভালভাবে শুকিয়ে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। যাতে সংরক্ষিত ধান কৃষকরা পরে বিক্রি করে ভাল দাম পায়।