এমপি দবিরুলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ


বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে বিজয়ী করতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ৬ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে ।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ আওয়ামী লীগ এ অঙ্গ সংগঠনগুলোর আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বললেন ঠাকুরগাঁও -২ নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিরা ।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের অগ্রণী ভূমিকা অনস্বীকার্য। নিঃসন্দেহে সাংবাদিকতা মহান পেশা এবং আমরা গণমাধ্যমকে সমাজের দর্পণ মনে করি। বিভিন্ন সময়ে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, বস্তনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সামাজিক, রাজনৈতিক অসঙ্গতি সমূহ আপনারা তুলে ধরায় নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যার সুফলভোগী আমরা সকলে।
আপনারা জানেন আমাদের প্রিয় নেতা, শহীদ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলাম এমপি এবং তার পরিবার মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য তাঁর পিতা শহীদ আকবর আলীকে রাজাকারদের সহযোগিতায় পাক হানাদার বাহিনী ধরে নিয়ে যায় এবং অদ্যাবধি তিনি আমাদের মাঝে ফিরে আসেননি।
আপনারা অবগত আছেন যে, আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলাম এমপি ১৯৭২ সাল থেকে পরপর ৩ বার বড়বাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে বিপুল ভোটে চেয়ারমান নির্বাচিত হোন। পরবর্তীতে (১৯৮৬-২০১৪) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা ০৬ বার বিজয়ী হয়ে তিনি ঠাকুরগাঁও-২ আসনের জনগণের পক্ষে মহান সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ইতোমধ্যে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সর্বশেষ সম্মেলনে তৃর্ণমূলের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলাম এমপির পরিবারের যারা সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা নিজ নিজ যোগ্যতায় এবং কাউন্সিলগণের প্রত্যক্ষ ভোটে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন।
আপনাদের কাছে প্রশ্ন জনপ্রিয় ভাই/ভাতিজা/আত্মীয় থাকা কি অপরাধ?
একটি বিষয় উল্লেখ করতেই হয় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলাতে আওয়ামীলীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠন সমূহ নিয়মিত সাংগঠনিক চর্চার মধ্যে ক্রিয়াশীল(ঋঁহপঃরড়হধষ) রয়েছে বলেই উপজেলার ৮ ইউনিয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যানগণ প্রত্যেকে নৌকা মার্কায় বিজয়ী, জেলা পরিষদে আওয়ামীলীগ মনোনীতগণ প্রতিনিধিত্ব করছেন, জেলার ৫ উপজেলার মধ্যে একমাত্র বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলাম এমপির ছোট ভাই (জৈষ্ঠ সহ-সভাপতি, উপজেলা আওয়ামীলীগ) জননেতা আলহাজ্ব মোঃ সফিকুল ইসলাম আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জনগণের প্রত্যক্ষভোটে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
আপনাদের মত আমাদেরও কৌতুহল হয় কেন প্রথম আলো পত্রিকা যুব মহিলা লীগের সভাপতি, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগ সভাপতি, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা লীগ, ওলামালীগ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের পরিচয় খুজলেন না?
তাঁরা এমপির ভাই/ভাতিজা কিংবা আত্মীয় নয় এজন্যই কি?
আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, এমপি মহোদয়, তার তিন ভাই ও ভাতিজারা সরাসরি কৃষি উৎপাদনেও জড়িত।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় বিষয়ে কিছু কথা বলতেই হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি দৃষ্টিনন্দন কার্যালয় ছিল বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে। এক সময় উপজেলা প্রশাসন জায়গাটির মালিকানা স্বপক্ষে দলিলাদি প্রদর্শন করলে এমপি মহোদয়ের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বানে জায়গাটি খালি করে দেওয়া হয় এবং সেই সঙ্গে এমপি নতুন একটি কার্যালয় নির্মাণে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে বর্তমানে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের অফিসটি আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠন সমূহের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের একটি নির্দিষ্ট নিজস্ব কার্যালয় রয়েছে যা সংবাদে তুলে ধরা হয়নি।
টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়া এবং পরবর্তীতে টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণরুপে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
জমি সংক্রান্ত বিষয়টিও ছিল সম্পূর্ণ রুপে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ, যা মাঝে মাঝেই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এখনও হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।
প্রশ্ন হলো ভুক্তভোগীরা আইনের আশ্রয় নিলেন না কেন? যখন তারা নিজেরাই প্রকাশ করছেন যে, বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তিশালী মানবাধিকার সংস্থা তাদের পাশে রয়েছেন।
তারা (প্রথম আলো পত্রিকা) এমপি মহোদয়ের ভাগিনার মামলার রায়ের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন কিন্তু তারা যেটা উল্লেখ করেননি, সেটি হলো তিনি আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিয়েছেন। যা তিনি বরাবরেই করে থাকেন। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও মামলার বাদীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেই আপনারা জানতে পারবেন এমপি মহোদয়ের ভূমিকা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার কথা।
এছাড়া আরও যে বিষয়টি উল্লেখ করেননি মাননীয় এমপি তার আপন ভাগ্নের বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কে সর্বাত্মক সহযোগিতার মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করিয়েছেন। এমপি মহোদয়ের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ছাড়া সেই বিজয় ছিল অসম্ভব!
এখানে উল্লেখ যে, মাননীয় সংসদ সদস্য ঠাকুরগাঁও-২ আসনের যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষি, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যখাত, মন্দির, মসজিদ ও এতিমখানার অবকাঠামো উন্নয়ন সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন করেছেন যা চোখে পড়ার মত। আনন্দের বিষয় হলো যে, ঠাকুরগাঁও- আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলাম এমপির আন্তরিক প্রচেষ্টায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের কার্যক্রম প্রায় শেষের দিক।
যেহেতু এ আসনটি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলাম এমপি নৌকার ঘাঁটিতে পরিণত করার মাধ্যমে বার বার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিয়েছেন এবং উল্লেখ না করলেই নয় আওয়ামী লীগের দুঃসময়েও (২০০১ নির্বাচন) তিনি নৌকায় বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন।
আামরা আশংকা করছি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এবং দলে অনুপ্রবেশকারী কুচক্রী মহল আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলাম এমপি কে পরাজিত অর্থ্যাৎ মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি জামায়াতে ইসলামের বিজয় নিশ্চিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন।
আমরা উপস্থিত সকলে মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে সে ধারাবাহিকতায় ঠাকুরগাঁও-২ আসনের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে জননেতা আলহাজ্ব মোঃ দবিরুল ইসলাম এমপির বিকল্প নেই।
সাংবাদিক সমাজের কাছে বিনীত অনুরোধ আপনারা যে কোন সংবাদ পরিবেশনের পূর্বে সংবাদের সত্যতা যাচাই করে বস্তনিষ্ঠ ভাবে পরিবেশন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আ’লীগের সংগঠনিক সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম সুজন, উপজেলা আ’লীগের সহ-সাধারন সম্পাদক জুলফিকার আলী, যুবলীগের সভাপতি মাজেদুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক আলী আসলাম জুয়েল, মহিলালীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য সুরাইয়া জেসমিন, সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম ভাসানী ও সাধারন সম্পাদক আব্দুস সাত্তার বাবু, ছাত্রলীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম সুমন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান এক্য পরিষদের সভাপতি প্রভাষক কৃষ্ট মোহন সিংহ, সাধারণ সম্পাদক সুজন ঘোষ, ওই উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের আ’লীগের চেয়ারম্যান, পুজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদসহ আ’লীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।