যুবদল সভাপতির উপর ককটেল হামলার ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার প্রভাবশালী কাউন্সিলর সেপার আল বখতিয়ারের উপর ককটেল হামলার ঘটনার সি সি ক্যামেরা ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৯ বৃহস্পতিবার) বেলা ৪টার দিকে শহরের জ্বলেশ্বরীতলা নূর মসজিদ এলাকায় সংঘটিত এই হামলা ছিল সু পরিকল্পিত বলে মনে করছে প্রশাসন।
সিপার আল বখতিয়ারের উপর পরিকল্পিত হামলার সিসি টিভির এই ফুটেজ বিকেল ৫টার মধ্যেই সংগৃহিত হয়ে যায়। রাত ৯টার আগেই পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ তা প্রত্যক্ষ করে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে হামলাটিকে পূর্ব পরিকল্পিত সংঘবদ্ধ জীবননাশী হামলা হিসাবে সনাক্ত করা হয়।
আগের দিনের রেকিকৃত তথ্যানুসারে ডেভলপারের ফার্ম থেকে বখতিয়ার পূনরায় পৌরসভায় যাবেন এমনটাই ছিল প্রত্যাশিত। আর এ কারণেই কালিবাড়ী মোড়ের দিকে অবস্থান নেয় মূল হামলাকারীরা। কিন্ত ঘটনাচক্রে বখতিয়ার পৌরসভা বা সাতমাথা পার্টি অফিসের দিকে না গিয়ে বাড়ীর রাস্তা ধরায় এবং মোটর সাইকেলের উপর ককটেল বিস্ফোরনের পরেও তারা মাটিতে পড়ে না যাওয়ায় ভাগ্যক্রমে জানে বাঁচেন বলে অভিমত দিয়েছেন খোদ পুলিশ কর্মকর্তাগণ। সেই সাথে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ে শহরের অভিজাত ও ব্যস্ততম এলাকায় এরকম হামলা পুলিশ কর্মকর্তাদেরও হতবাক করে দিয়েছে।
যেভাবে হামলা করা হয়ঃ
সিসি টিভি ফুটেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বেলা সাড়ে ৩টা নাগাদ সেপার আল বখতিয়ার পৌরসভার কাজ শেষে তার দুই সহযোগি কবির ও রঞ্চনকে নিয়ে মটরসাইকেল যোগে জ্বলেশ্বরীতলাস্থ রায় বাহাদুর সড়কের একটি ডেভলপার ফার্মে আসেন। অনুসরনকারী সন্ত্রাসীদের জনাদশেকের একটি গ্রুপ দুভাগে বিভক্ত হয়ে একাংশ কালিবাড়ীর মোড় এবং অপরাংশ নূর সমজিদ মোড়ে অবস্থান গ্রহণ করে।
বিকাল ৪টা ২মিনিটে বখতিয়ার ও তার সহযোগিরা ডেভলপার ফার্ম থেকে বের হয়। কবির মটরসাইকেলের চালকের আসনে, মাঝখানে বখতিয়ার এবং পিছনে রঞ্চন উঠে মালতীনগরস্থ বখতিয়ারের বাড়ীর উদ্যেশে যাত্রা করে। মটরসাইকেলটি ডক্টরস ক্লিনিকের মোড় পেড়িয়ে নূর সমজিদের দিকে এগিয়ে গেলে পেছন থেকে সন্ত্রাসীদের ছোড়া একটি শক্তিশালী ককটেল মটরসাইকেলের নম্বর প্লেটে আঘাত করলে বিপক শব্দে তা বিস্ফোরিত হলে পেছনে বসা রঞ্চল গুরুতর আহত হয় এবং মটরসাইকেলের ব্যাকলাইট অংশ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
কাকতালীয়ভাবে মটরসাইকেল চালক কবির এ হামলার পরেও মটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়। এসময় কালিবাড়ীর দিক থেকে দৌড়ে আসা ৩ সন্ত্রাসীর একজন পিস্তল বা রিভোলবার জাতীয় আগ্নেয়াস্ত্র হতে, একজন চাপাতি বা চাইনিজ কুড়াল হাতে এবং অপরজন সাদা টেপদিয়ে মোড়ানো ককটেল হাতে ছুটে এসে নূরমসজিদ এলাকায় অবস্থান নেওয়া গ্রুপের সাথে যোগদিতে দেখা গেছে সিসি টিভি ভিডিও ফুটেজে।
এসময় হামলার প্রাথমিক ঘোড় কাটিয়ে বখতিয়ার ও তার সহযোগিরা মটরসাইকেলনিয়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে সক্ষম হয়। পরে হামলাকারীরা নির্বিঘ্নে ঐ এলাকা ত্যাগ করে। ককটেল বিস্ফোরনের বিকট শব্দে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়লে পথচারিদের দৌড়ে স্থান ত্যাগ করে, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমুহ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। রাতে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে কয়েকজন মুখচেনা সন্ত্রাসীদের সনাক্ত করে বেশ কয়েকজন আসামীর নাম এবং আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।