টাঙ্গাইলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন


বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। প্রতিবছরের মত এবছরেও ১৫ এপ্রিল রবিবার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বড়কালিবাড়ীতে ভিড় জমাতে থাকে সনাতনধর্মাবল্বীরা।
এরপর ধর্মীয় নিয়ম কানুন অনুযায়ী পূজা অর্চনা শেষে মন্দিরে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেন হিন্দু স¤প্রদায়ের নারী এবং পুরুষেরা। শ্রী শ্রী বড়কালিবাড়ীর পুরোহিত শ্রী আশীষ কুমার ভাঁদুড়ী জানায়, ‘পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বড় কালিবাড়ীতে প্রায় ১০ হাজার নারী এবং পুরুষ এর আগমন হয়েছে। সকালে প্রথমেই গোবিন্দের পূজা, মহাদেবের পূজা এবং মা কালীর পূজা করা হয়। ডাবের জল, দুধ, ঘি, মধু এবং দই দিয়ে মহাদেব এবং মা কালীকে স্ন্যান করায় নারী ভক্তরা।
’ হিন্দুদের নিয়ম হচ্ছে যেকোন কাজ শুরু করার আগে গণেশপূজা করা। পহেলা বৈশাখ যেহেতু বছরের প্রথম দিন, সেহেতু সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের হিন্দু ব্যবসায়ীরাও এই দিনে নতুন বছরের ব্যবসা শুরু করার জন্য গণেশপূজা করে হালখাতার আয়োজন করে। তারপর হালখাতার মধ্য দিয়ে তারা ব্যবসার খাতা খুলে থাকে।
শিল্পী রাণী বণিক জানায় , ‘আমরা ধর্মীয় সকল নিয়ম কানুন অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন বিভিন্ন পূজা অর্চনা করে থাকি। এই দিনে আমরা সকলে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে আমাদের স্বামীর দীর্ঘায়ু এবং পরিবারের সুখ সমৃদ্ধি কামনা করি।’ উর্মি বণিক জানায়, ‘প্রতিবছরই আমি পহেলা বৈশাখে মন্দিরে আসি। সেই ধারাবাহিকতায় এবছরেও মন্দিরে আসা হয়েছে।
মহাদেব ও মা কালীকে স্ন্যান করিয়েছি। এই দিনে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামানায় ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি।’ এছাড়া বৈশাখী উৎসবকে কেন্দ্র করে মন্দির প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় নারী, পুরুষ এবং শিশুদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। মন্দির প্রাঙ্গনে সনাতনধর্মাবলম্বীদের এক মিলন মেলার সৃষ্টি হয়।