নন্দীগ্রামে ধান ক্ষেতে

পার্চিং ও আলোক ফাঁদ পদ্ধতিতে সুফল পাচ্ছে কৃষক

মাসুদ রানা,নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:৪১ পিএম, শুক্রবার, ৩০ মার্চ ২০১৮ | ৫৫৫

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ধান ক্ষেতে ক্ষতিকারক পোকা নিধনে কৃষকরা পার্চিং ও আলোক ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। ফলে কৃষকদের জমিতে বিষের ব্যবহার কমেছে।

এউপজেলার বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে এখন ধান ক্ষেতের সবুজের সমরোহ। চলতি মৌসুমে বোরো ধানে ক্ষতিকারক পোকা নিধনে বিষের বিকল্প হিসাবে কৃষক ক্ষেতে পার্চিং হিসাবে জীবন্ত ধঞ্চে গাছ, ডালপালা ও আলোক ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করছে। ফলে জমিগুলো থাকছে নিরাপদ।

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এধরনের উদ্যোগ গ্রহনের পর সফলতা আসায় ধান ক্ষেতে এসব পদ্ধতি ব্যবহারে ঝুঁকে পড়েছে উপজেলার কৃষকেরা। ধান ক্ষেতের প্রধান শত্রু“ক্যারেন্ট মাজরা পোকা, গান্ধি ও চুঙ্গি পোকাসহ বাদামী ঘাস ফড়িং পোকা নিধনে কৃষকরা চাষাবাদ ৮০ভাগ জমিতে পার্চিং ও আলোক ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করছে।

পোকা মাকড়ের মারাত্মক আক্রমনের হাত থেকে এ ২টি পদ্ধতি ব্যবহার করে ধানের ক্ষেতগুলো নিরাপদ রাখা হয়েছে। উপজেলার বাদলাশন গ্রামের কৃষক আব্দুল হাকিম জানান, বোরো ধানের ক্ষেতে পার্চিং পদ্ধতিতে কীটপতঙ্গ দমনে সুফল পাচ্ছি। এতে করে উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে ও পরিবেশের কোন ক্ষতি হচ্ছে না।

ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহা. মশিদুল হক বলেন, ধান ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকা দমনে কৃষকরা এসব পদ্ধতি ব্যবহার করে ভাল ফল পেয়েছে।

কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষীদের ধানের সর্বচ্চ ফলন নিশ্চিত করতে আলোক ফাঁদ পার্চিং পদ্ধতি ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে দিতে চাষী পর্যায়ে নিয়মিত কৃষক সভা, উঠান বৈঠক, মনিটরিং ও মাঠ দিবসসহ সকল তথ্য-পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের সহযোগীতা করা হচ্ছে। এ মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ২০হাজার ৪শ ৪৪হেক্টর বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।