নন্দীগ্রামে শত বছরের নামুইট হাটের অস্তিত্ব বিলুপ্তির পথে

নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:৪৭ পিএম, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ | ৫০৭

বগুড়ার নন্দীগ্রামে পৌর শহরের শত বছরের পুরাতন ঐতিহ্যবাহী নামুইট হাটটি স্থানীয় লোকদের জবর দখলের কবলে পড়ে এখন বিলুপ্তির পথে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানাযায়, নন্দীগ্রাম পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের শত বছরের পুরাতন ঐতিহ্যবাহী নামুইট হাটটির এখন আর আগের মত জৌলস নেই। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল হাটের জায়গা জবর দখল করে ঘর-বাড়ী, দোকান নির্মান ও খড়ের পালা দিয়ে রেখেছে। ফলে প্রতি বছর লাখলাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় কিছু বয়স্ক লোকদের সাথে কথা বলে তারা জানায়, নামুইট হাট এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী হাট ছিলো। আশে পাশের বিশাল এলাকা নিয়ে প্রতি সপ্তাহে এখানে হাট বসতো। আশে পাশের কয়েক গ্রামের মানুষ এখানে হাট করতে আসতো। কিন্তু ধীরে ধীরে এখন হাটটি বিলুপ্তির পথে।

তারা আরো জানান, বহুদুর দুরান্তর থেকে লোকজন এসে ধান, চাল সহ বিভিন্ন ধরনের তরিতরকারী কেনা বেচা করতো। এক সময় হাটটি ছিলো বেশ জমজমাট। হাটুরিয়ারা তাদের প্রয়োজনে অনেক দুর থেকে ছুটে আসত এই হাটে। কিন্তু এখন সেই দৃশ্য আর চোখে পড়েনা। নামুইট গ্রামের ইসমাইল, মহির, আশরাফ, ইদ্রিস তারা হাটের জায়গায় খড়ের পালা দিয়ে রেখেছে।

অপরদিকে নুরুল ইসলাম সহ ২/৩ জন ব্যাক্তি হাটের জায়গা জবর দখল করে ঘর-বাড়ি ও দোকান নির্মান করেছে। নামুইট গ্রামের আশরাফ আলী, ফজলার রহমান, আজিজুর রহমান, আবু-সাঈদ জানান, আগে খুব বড় করে হাট বসতো এখানে। কিন্তু হাটের জায়গা জবর দখল করার কারনে স্থান সংকোচিত হওয়ায় এখন আর হাটে তেমন দোকান বসেনা।

দেখা যায়না দুর দুরান্তের হাটুরিয়াদের। চোখে পড়েনা হাটের সেই পুরনো জৌলস। আগে এক একর জায়গার উপর হাট বসতো কিন্তু এখন খড়ের পালা, ঘর-বাড়ি ও দোকান নির্মানের ফলে হাটের জায়গা কমে গিয়ে মাত্র ৩৩শতক জায়গা দোকান বসার মতো আছে। গত বছর ওই হাটের ইজারা মূল্যে ছিলো ১লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

হাটের ইজারাদার আলহ্জা গোলাম রব্বানী জানান, হাটের জায়গা কম হওয়ার কারনে হাটে দোকানের পরিমান কমে গেছে যার কারনে গত বছর ৩৫/৪০ হাজার টাকা লোকশান হয়েছে। এবছরও হাটের টেন্ডার করা হয়েছে। কিন্ত সরকারী মূল্যে কেউ হাট নিবেনা বলে জানা গেছে।

যার কারনে প্রতি বছর হাটের টেন্ডার মূল্যে কমে যাওয়ায় প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অচিরেই হাটটি জবর দখল মুক্ত করার জন্যে জোর দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।

এব্যাপারে অত্র ওয়ার্ডের কমিশনার রহমত আলীর সাথে কথা বললে তিনি এই পতিনিধিকে জানান, পৌর মেয়র কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েলের নিকট এবিষয়ে বার বার অভিযোগ করা হয়েছে। মেয়র কয়েকবার জবর দখল উচ্ছেদ করার নোটিশ পাঠিয়েছে কিন্তু তারপরেও কোন কাজ হচ্ছেনা।