বাগেরহাটে জোড়া খুনে ৯ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ


পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেড়িকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় । দুই দিন পর মারা যান শাহ আলম। এ ঘটনায় তার স্ত্রী মোসাঃ সাহিদা বেগম (৫০) বাদী হয়ে প্রতিবেশি মনিরুজ্জামান দুলাল খন্দকার (৪০), শাহজাহান খন্দকার (৫৫), আঃ লতিফ খন্দকার (৫২), নাইম হোসেন লিমন খন্দকার (২০),মাহাবুবা সুলতানা শাবানা (৪২) এবং মোসাঃ নাছিমা বেগম (৪০)কে অভিযুক্ত করে ১০মে, রাতে শরনখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দ্বায়ের করেন। অপরদিকে, পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে ১৪মে, দুপুরে বাবা ও ছেলের পিটুনিতে ঘটনাস্থলে মারা যান উপজেলার ধানসাগর গ্রামের বাসিন্দা মৃতঃ শামসুল হক শিকদারের ছেলে দিন মজুর আঃ সবুর শিকদার (৫০)।
ওই ঘটনায় তার স্ত্রী মোসাঃ- হেলেনা বেগম (৪০), বাদী হয়ে ১৪মে, রাতে শরনখোলা থানায় নিহত সবুরের আপন ভগ্নিপতি মোঃ আলতাফ শেখ (৫৫),তার স্ত্রী-মোসাঃ-শুরমা বেগম (৪৫) এবং তাদের ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন রনি (ওরফে) প্রিন্স (২৫) কে দ্বায়ী করে একটি হত্যা মামলা রজু করেন। তবে, প্রকাশ্য দিবালোকে দু- দিন মজুরকে পিটিয়ে হত্যা করেও অনেকটা হাসি মুখে এলকা থেকে পালিয়ে যায় খুনীরা ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে, ধান সাগর এলাকার এক সমাজ সেবক বলেন ,করোনার এমন দুর্যোগ মুহুতেও মানুষ হত্যার মতো ন্যাক্কার জনক কাজ সত্যিই আচার্যের।তবে,করোনায় আইন-শৃংখলা বহীনির সদস্যরা ব্যাস্থ থাকায় পুর্বের তুলনায় শরনখোলার অপরাধ প্রবনতা বেড়েছে। তার মতে, জোরদার পুলিশী টহল সহ অপরাধ দমনে গ্রাম পুলিশদেরকে আরো দ্বায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে হবে এবং যে কোন অপরাধ প্রবনতার বিরুদ্বে এলাকাবাসীর রুখে দাড়াতে হবে।
এ বিষয়ে শরনখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস কে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান,অভিযুক্তদের গ্রেফতারে জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত অব্যাহত রয়েছে ।