গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও মাওলানা ভাসানী’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | ২৪০

মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও মাওলানা ভাসানী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস এর অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।

মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওলানা ভাসানী স্টাডিজ কোর্সের শিক্ষক সৈয়দ ইরফানুল বারী।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সেমিনার উপ-কমিটির আহবায়ক আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ ওয়াহিদ। 

মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ উমর ফারুক, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর একেএম মহিউদ্দিন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর মো. মতিউর রহমান, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর মোছা. নুরজাহান খাতুন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর জিয়াউর রহমান।

অতিথিরা বলেন, মওলানা ভাসানীর তিনকাল; ভারত, পাকিস্তান ও আসাম। এর মধ্যে তাঁর জন্য আসাম ছিল কঠিন জীবন। কারণ তিনি আসামে লাইন প্রথা বিরোধী, বাঙ্গাল-খেদা ও আসাম-বাংলা সার্ববৌম রাষ্ট্র গঠনে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় পাড় করেছেন। 

মওলানা ভাসানী পা থেকে মাথা পর্যন্ত রাজনীতিক ছিলেন। কেউ ভাসানীকে বলেছেন রাজনীতিবিদ, কেউ বলেছেন সমাজতন্ত্রবিদ, আবার কেউ বলেছেন ধর্মীয় নেতা বা পীর। যেহেতু ইসলামে সবকিছুই আছে- তাই তিনি ইসলামি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।

বক্তারা বলেন, সমাজে এখন ব্যাপক কর্মসংকট। লক্ষ লক্ষ যুবক শিক্ষা উপযোগী কাজ পাচ্ছে না। প্রকৃত গণতন্ত্র আমাদের দেশে নেই। গণতন্ত্র পুরোপুরি যখন লক্ষ্যে পৌঁছে তখন সমাজতন্ত্রের বাস্তবায়ন হয়। পুরোপুরি গণতন্ত্র তখনই হবে যখন দেশের শিক্ষা, চিকিৎসা ও  যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। 

বক্তারা মওলানা ভাসানীর অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান। আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করে।