পূর্ব শত্রুতার জের
নাগরপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে জখম


টাঙ্গাইলের নাগরপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই সহোদরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বেকড়া গ্রামে।
আহতরা হচ্ছেন, ওই গ্রামের তমিজ উদ্দিনের পুত্রদ্বয় লতিফ মিয়া (৬৫) ও লুৎফর মিয়া (৫০)। তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দিনই নাগরপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় লুৎফর মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
এলাকাবাসি ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে বেকড়া গ্রামে হাবেল মিয়ার ছেলে শওকত আলী(৩৫) একই গ্রামের সালাম মিয়ার সরিষা ক্ষেতের ওপর দিয়ে ট্রাক্টর নেয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়।
খবর পেয়ে শওকত আলীর অপর দুই ভাই সেতাব(৩২) ও কেতাব আলী(৩০) ৭/৮ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল নিয়ে দেশিয় অস্ত্র সস্ত্রে সজি¦ত হয়ে লতিফ ও লুৎফরকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এতে লতিফ ও লুৎফর মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে। এ নিয়ে এলাকাবাসি এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরে স্বজনরা এলাকাবাসীর সহায়তায় গুরুতর আহত ওই দুই সহোদরকে তাৎক্ষনিক নাগরপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সোহরাব হোসেন ও হেলাল শেখ জানান, কেতাব আলী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী। সম্প্রতি এলাকায় কেতাব আলীকে মাদক বিক্রি ও সেবনে বাধা দিলে লুৎফর মিয়ার সাথে তাদের শত্রুতা সৃষ্টি হয়।
ওই ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষ সেতাব ও কেতাব পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শুক্রবার লুৎফর এবং লতিফ মিয়ার ওপর হামলা করে।
অপরদিকে এ প্রতিবেদকের কাছে প্রতিপক্ষ শওকত আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আবেগের বশিভূত হয়ে কোন প্রকার ভাবনা চিন্তা না করেই আমার ভায়েরা লতিফ ও লুৎফরের ওপর আচমকা হামলা করে।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন বলেন, ওই ঘটনায় দুই পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।