সংঘাত সংঘর্ষ সহিংসতা

আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি পুলিশ, কাজে ফেরা নিয়েও শঙ্কা


প্রকাশিত: ১০:১৫ এএম, শুক্রবার, ৯ আগস্ট ২০২৪ | ৫৪৫

৫ আগস্ট বেলা দেড়টা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবরে শুরু হয় আনন্দ মিছিল। এমনই একটি মিছিল যাত্রাবাড়ী থানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে বিদ্ধ হয় অন্তত দুই শতাধিক সাধারণ মানুষ। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জনরোষের শিকার হয় যাত্রাবাড়ী থানা। সেখানে অবস্থান নেয়া পুলিশ সদস্যদের গণপিটুনি দিয়ে অস্ত্রসহ অন্যান্য সরঞ্জাম লুট করে নেয়া হয়। এসবই হয়েছে কনস্টেবল রফিক উদ্দিনের (ছদ্মনাম) চোখের সামনে।

পুলিশ সংস্কার আইন প্রণয়নের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

 

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, পুলিশের এসব দাবি-দাওয়া নিয়ে গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরে আইজিপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত আট সদস্যের কমিটি। সেখানে তারা সব পুলিশ সদস্যের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। আইজিপি তাদের প্রস্তাব দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি কমিটি সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া, আহত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা ও তাদের প্রস্তাব স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন আইজিপি। এর বাইরে গতকাল রাজারবাগে সংবাদ সম্মেলন করে সাধারণ পুলিশ সদস্যদের প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কল্যাণ সমিতি।

 

এদিকে পুলিশ সদস্যদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য যে আহ্বান জানানো হয়েছিল সেটির পরিপ্রেক্ষিতে অনেক পুলিশ সদস্য কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তাদের আসার পথে বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক দলের নেতা, ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারণ সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বণিক বার্তাকে বলেন, ‘পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। সবকিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে ফেরার পর প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করা হবে।’

সুত্র:বণিক বার্তা