আগামী বছরই বাঁধের কাজ শুরু- এমপি ছানোয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪০ পিএম, রোববার, ২২ মে ২০২২ | ৬৮৪

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মো: ছানোয়ার হোসেন বলেছেন আগামী বছরই আমরা বাঁধে নিমার্ণ কাজ শুরু করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের  এ বাধেঁ প্রকল্পটি একনে আগেই অনুমোদন হয়ে আছে,গত বছরই এ বাধেঁ কাজ শুরু হত কিন্তু করোনার মহামারিতে প্রকল্পের কাজটি আটকে যায় যা ইতিমধ্যে টেন্ডার ডকুমেন্টটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। টেন্ডারটি খুব দ্রুত পাশ হয়ে যাবে। 

রোববার ( ২২ মে) দুপুরে সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের যমুনা নদীর ভাঙ্গন পরিদর্শন ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কালে এসব কথা বলেন। 

এমপি আরোও বলেন, সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই যমুনা নদীর বয়ে গিয়েছে। প্রতিবছরই কোন না কোন জায়গায় যমুনার ভাঙ্গন শুরু হয়ে থাকে এবার তো বর্ষার আগেই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত কয়েক বছর এলাকা রক্ষায় জরুরি প্রয়োজনে ভাঙনের সময় জিওব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারপরও ভাঙনের ফলে নদীর সীমানা গত বছরের চেয়ে আড়াইশ’ মিটার পূর্বদিকে সরে এসেছে। কাজেই আমরা আশা রাখছি আগামী বছরই স্থায়ীভাবে বাঁধের কাজ শুরু করতে পারবো।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাজাহান আনছারী,উপজেলা নির্বাহী অফিসার রানায়ারা খাতুন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসশেদুল ইসলাম, কাকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রমুখ।

প্রায় ৪’শ পরিবারের মাঝে  ৫ কেজি চাল, ১লিটার তৈল,১ কেজি চিনি ১ কেজি সুজি, এক প্যাকেট সেমাই,এছাড়াও ১০৮ বস্তা চাল দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, যমুনার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরপৌলী, উত্তর চরপৌলী এ বছর বর্ষার আগেই গত এক সপ্তায় প্রায় ২ কিলোমিটার তীব্র ভাঙনে ইতোমধ্যে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে। গত দুইদিনে ওই এলাকার তিন শতাধিক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।