ভূঞাপুরের ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৩৫ জনের জামিন


গত ২৬ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান আকবর হোসেনসহ ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫০০ থেকে ৩০০০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়েকৃত মামলায় ৩৫ জনকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
গত মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকেলে আসামিদের জামিননামা টাঙ্গাইল জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হলে গত বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে আসামিরা কারাগার থেকে জামিন পায়।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নূর-ই-আলম জানান, গত মঙ্গলবার টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ক্রিমানাল মিস কেস মুলে আসামিদের জামিন শুনানি হয়। শুনানী শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাহিমা কাদের তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে হাইকোর্ট থেকে ১২ জানুয়ারি আসামিরা ৬ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন ছিলেন। পরে গত ২০ ফেব্রুয়ারি নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে দুপুরে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাউদ হাসান তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ফলদা ইউনিয়নে গুজব ছড়িয়ে নির্বাচনে সহিংসতা, সরকারি কাজে বাঁধা ও নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালানো হয়। এ ছাড়াও কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিকেও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
মামলার তদন্ত শেষে ৪১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫০০-৩০০০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এতে ৪১ আসামির মধ্যে ফলদা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আকবর হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নানসহ ৩৫ জন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত শেষে ২৫০০-৩০০০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এরমধ্যে এজাহারনামীয় ৩৫ জন নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণ করে গত ২০ ফেব্রুয়ারি জামিন চাইলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। এরপর গত বুধবার (৯ মার্চ) তারা জামিন পেয়েছেন।