সেই শতবর্ষী প্রিয়াবালার বাড়িতে সাংসদ খান আহমেদ শুভ

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:৪৯ পিএম, রোববার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২ | ৬২১

সেই শতবর্ষী ভোটার প্রিয়াবালা রাজবংশীকে দেখতে তার বাড়িতে হাজির হলেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ। প্রিয়াবালা গত ১৬ জানুয়ারি টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের উপনির্বাচনে বাড়ি থেকে প্রায় আধাকিলোমিটার রাস্তা লাঠি ভর করে ত্রিমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান।সেখানে তার পছন্দের প্রার্থী খান আহমেদ শুভকে নৌকা মার্কায় ভোট দেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন। এই শতবর্ষী ভোটারের ভোট দেয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে উঠে আসে। খবরটি নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর নজরে আসলে কৃতজ্ঞতা জানাতে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধা সাড়ে সাতটায় প্রিয়াবালার ত্রিমোহন গ্রামের বাড়িতে যান। তার সাথে কুশল বিনিময় ছাড়াও বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। 

শতবর্ষী প্রিয়াবালা নবনির্বাচিত এমপি খান আহমেদ শুভর গলায় ফুলের মালা পড়িয়ে দেন। সংসদ সদস্য শুভ প্রিয়াবালার গায়ে শীতের চাঁদর জড়িয়ে দেন এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। প্রিয়াবালার কথা শুনেন এবং তার সাথে দীর্ঘ সময় কাটান।

পিয়াবালার ছেলে, রবি রাজবংশী, পরেশ রাজবংশী ও নরেশ রাজবংশী বলেন, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ আমাদের বাড়িতে এসে বৃদ্ধা মায়ের খোঁজখবর নিয়েছেন। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। 

শতবর্ষী প্রিয়াবালা রাজবংশী বলেন, আমি শেখ সাহেবকে খুব পছন্দ করতাম। তার মেয়ে শেখ হাসিনা সুন্দরভাবে দেশ চালাচ্ছে। নির্বাচন আসলেই শেখ সাহেবের নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য অস্থির থাকতাম। শুভর বাবাকে স্বাধীনতার পর কয়েকবার ভোট দিছি। এবার শুভকে ভোট দিলাম। শুভ নামটি যেমন শুভ, তার কাজও হবে শুভ। সৃষ্টিকর্তা শেখের বেটি ও শুভকে সুস্থ্য রাখুক।

নবনির্বাচিত সাংসদ খান আহমেদ শুভ বলেন, গণমাধ্যমে খবর দেখে প্রিয়াবালার প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে। ১০৭ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা দাদী যেভাবে এখনো হাটতে পারে, রান্না করতে পারে, কথা বলতে পারে আমি কাছে না গেলে বুঝতে পারতাম না। আমি মির্জাপুরের প্রতিটি ভোটারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।